বুধবার, ৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

শীতলক্ষ্যার তীরে নান্দনিক ওয়াকওয়ে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

শীতলক্ষ্যার তীরে নান্দনিক ওয়াকওয়ে

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিনোদনের উল্লেখযোগ্য কোনো স্থান নেই বললেই চলে। এ এলাকর মানুষের বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদীঘেঁষা সাড়ে ৪ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে। শীতলক্ষ্যা নদী দখল এবং অবৈধভাবে বালু ও পাথর ব্যবসা বন্ধের লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয় নান্দনিক ওয়াকওয়ে। এ ওয়াকওয়ে এখন পরিণত হয়েছে বিনোদন কেন্দ্রে। পাল্টে দিয়েছে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা। ২০১৪ সালের জুনে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকা থেকে ঢাকার ডেমরা ঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটারজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে এ ওয়াকওয়ে। বর্তমানে এটি মুখর থাকে হাজারো মানুষের পদচারণে। ছুটির দিন ও বিশেষ উৎসবে লোকারণ্য হয়ে ওঠে শীতলক্ষ্যার তীর। এখানে রয়েছে নির্মল বাতাস ও নিরিবিলি পরিবেশ। একপাশে টলটলে জলরাশি, আরেক পাশে পরিবেশবান্ধব গাছ। আছে খোলা জায়গা। নির্মল বাতাস উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে ওয়াকওয়ে ঘুরতে আসেন মানুষ। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোয় ভিড় থাকে এখানে। ওয়াকওয়ে ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকে। সরেজমিন দেখা যায়, ওয়াকয়েতে রয়েছে ভাসমান বিভিন্ন খাবারের দোকান। প্রাতর্ভ্রমণের জন্য অনেকে ওয়াকওয়েটি বেছে নিয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকার বাসিন্দা আরেফিন হক বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ভালোভাবে হাঁটার কোনো জায়গা নেই। রাস্তা বেশির ভাগ সময় রিকশাসহ অন্য যানবাহনের দখলে থাকে। এজন্য আমি প্রতিদিন সকালে এখানে (ওয়াকওয়ে) আসি।’ সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীর বাসিন্দা সোহেল রহমান বলেন, ‘আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। সব সময় ব্যস্ত থাকি। সময় পেলেই এখানে আসি। মাঝেমধ্যে নদীর তীরে নোঙর করা জাহাজের ওপর বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিই।’ পরিবার নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী ভ্রমণ করতে আসা সোনিয়া আক্তার বলেন, ‘আগে এ স্থান মাদকসেবীদের আড্ডাখানা ছিল। ওয়াকওয়ে নির্মাণের ফলে এটি বিনোদনের জায়গা হয়েছে। তাই ছুটির দিনে এখানে ঘুরতে আসি।’

সর্বশেষ খবর