শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে তিল চাষে আগ্রহ বাড়ছে

সাজ্জাদ হোসেন, নড়াইল

ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে তিল চাষে আগ্রহ বাড়ছে

কম খরচে উৎপাদন এবং বাজারে ভালো দামে বিক্রি করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণেও অবদান রাখছে। ফলে তিল চাষে আগ্রহ বাড়ছে নড়াইলের কৃষকদের। পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও তিল চাষ বাড়ছে এ জেলায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে যাবে তিল চাষিদের ভাগ্য। অনাবাদি জমিতেও তিল চাষ করেছেন অনেকে। ফলনও হয়েছে ভালো। আগামীতে তিলের আবাদ আরও বাড়বে বলে আশা করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। তিল চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঝে তিল চাষ অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে জেলায় ফের তিল চাষ বাড়ছে। এর ওপর আবার হঠাৎ করে ভোজ্য তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চাষিরা তিল চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠছে। তিলের জমিতে তেমন চাষের প্রয়োজন হয় না। উঁচু জমি সামান্য চাষ করে বীজ বপন করলেই চলে। প্রতিবিঘায় প্রয়োজন এক কেজি বীজ, যার বাজার দাম ১০০ টাকা। এ ছাড়া তিলবীজ বপনের পর একটা নিড়ানি ছাড়া কোনো খরচ নেই। তিলে কোনো রোগবালাই না হওয়ায় কীটনাশকও লাগে না বললেই চলে। গরু-ছাগলে তিল খায় না, তাই রক্ষণাবেক্ষণে কোনো খরচ হয় না। মাটির জৈব ঘাটতি পূরণেও লাভজনক হওয়ায় তিল চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সেচ ও সার ছাড়াই তিন মাসের মধ্যে তিল ফসল ওঠে। এভাবে কম খরচ আর আর্থিকভাবে লাভবান হতে জেলায় তিল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজার ব্যবস্থাপনা সুবিধা পেলে এ জেলার কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা হতে পারে তিল। এক বিঘা জমিতে আট থেকে ১০ মণ তিল উৎপাদন হয়। উৎপাদিত প্রতি মণ তিলে ২৫ থেকে ২৮ কেজি তেল উৎপাদন হয়। তা ছাড়া তিলের তেল দিয়ে সব ধরনের তরকারি রান্না করা যায়। অনাবাদি জমিতে তিল চাষ করা হচ্ছে। এতে খরচ খুব কম হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।  কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা জানান, কম খরচে উৎপাদন করে বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে তিল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার বলেন, ‘দিন দিন কৃষক তিল চাষে প্রায় হারিয়ে ফেলছিল। আমরা উন্নত মানের তিল বীজ কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করার পাশাপাশি নানাভাবে তিল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করায় এবার অর্থকরী ফসল হিসেবে তিল চাষ বেড়েছে।’

সর্বশেষ খবর