সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
ত্রাণ পেয়ে প্রতিবন্ধী সুবির দাস বললেন

‘ওপরওয়ালা বসুন্ধরা গ্রুপের মঙ্গল করুন’

সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা প্রতিনিধি

‘ওপরওয়ালা বসুন্ধরা গ্রুপের মঙ্গল করুন’

সুনামগঞ্জে ত্রাণ দিচ্ছেন অতিথিরা

হতদরিদ্র সুবির দাস শারীরিক প্রতিবন্ধী। একটি পা না থাকায় চলেন স্ক্রেচে ভর করে। সাম্প্রতিক বন্যায় সুরমা নদী-তীরবর্তী তার বাড়িটি প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হন।  বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয় প্রতিবন্ধী সুবির দাসের হাতে। কয়েক দিনের খাদ্যের সংস্থান হওয়ায় খুশি তিনি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ওপরওয়ালা বসুন্ধরা গ্রুপের মঙ্গল করুন। শুধ সুবির দাস নন; সুনামগঞ্জে দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮ হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দিয়েছে দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পৌর শহরের মল্লিকপুর আবাসিক এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বসুন্ধরার পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে সহায়তা তুলে দেন পৌর মেয়র নাদের বখত।  জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ছাতক উপজেলায় ৫০০টি, ছাতক পৌরসভায় ৩০০টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৮৫০টি, সদর উপজেলায় ৩০০টি, সুনামগঞ্জ পৌরসভায় ৫০০টি পরিবারের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়।

এ ছাড়া  নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জেলার ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে গতকাল ত্রাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।

সাতপাই আধুনিক স্টেডিয়াম মাঠে সদর উপজেলার উদ্যোগে প্রথম দিনে ২ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়। 

বিভিন্ন প্রতিবন্ধী সংগঠনের সদস্যদের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া আরও ৫৫০ প্যাকেট খাদ্যসহায়তা বিতরণ করে জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জের আরও ৫ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্যসহায়তা পাঠিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। জেলা পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন উপজেলায় এ সহায়তা বিতরণ শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০টি পরিবারের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়। এদিকে বসুন্ধরা গ্রুপ নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জেলার ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে গতকাল ত্রাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। সাতপাই আধুনিক স্টেডিয়াম মাঠে সদর উপজেলার উদ্যোগে প্রথম দিনে ২ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র এস এম মহসীন আলম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহম্মদ রুহুল আমীন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর