মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

পরীক্ষা দিতে পারবে না ওরা ১১ জন

নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার জন্য নিয়মিত বিদ্যালয়ে গিয়েছেন, স্কুলের শিক্ষকদের পরামর্শে পড়েছেন প্রাইভেট, পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফিও নেওয়া হয়েছে, অংশগ্রহণে নেওয়া হয়েছে মডেল টেস্ট। অথচ, পরীক্ষার মাত্র ২ সপ্তাহ আগে জানতে পারলেন কারও রেজিস্ট্রেশনই করতে পারেনি। এ অবস্থায় হুমকিতে পড়েছে ১১ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জের ১ নম্বর ওয়ার্ডে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ওই সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেরুন বলেন, স্কুলটিতে বিগত ১০ বছর যাবৎ লেখাপড়া করছি। আমরা ২০১৯ সালের অষ্টম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হই।

তিন মাস ক্লাস করার পর দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আমরা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের সঙ্গ যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের প্রাইভেট পড়তে বলেন। তারপর থেকে ৮০০ টাকা বেতনে আমরা ওই স্কুলের তত্ত্বাবধানে প্রাইভেট পড়তে থাকি। আমাদের ব্যাচে ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল কিন্তু করোনার কারণে অনেকে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত আমরা ১১ জন ছাত্র-ছাত্রী থেকে যাই। দুইজন ছাত্র এবং আমরা ৯ জন ছাত্রী। এ ছাড়া সময়মতো আমাদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফিও নেওয়া হয়। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে আমাদের মডেল টেস্ট পরীক্ষা বাবদ ফি এবং পরীক্ষাও নেয়। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিতে থাকি কিন্তু পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি যে, আমাদের রেজিস্ট্রেশন এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি জানতে পেরে আমরা মর্মাহত। এ বিষয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র ত্রুটি নেই। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামকে বিষয়টি অবগত করলেও আমরা কোনো সুরাহা পাইনি। আমরা প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের প্রতারণার শিকার। আমরা জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাকিয়া বেগম জানান, আমরা বিশ্বাস করি। আমরা প্রতারিত হয়েছি। আমরা এর বিচার চাই। আমাদের সন্তানদের এ বছরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমিন, সুখী, জান্নাত, মেহেরুন, মীম, কবিতা, তন্নি, আফসানা, সোনালীসহ অভিভাবকবৃন্দ।

সর্বশেষ খবর