বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দেওয়া আরও ১০ লঞ্চ চালুর অনুমতি

নারায়ণগঞ্জের দুই নৌরুট

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দেওয়া আরও ১০ লঞ্চ চালুর অনুমতি

নারায়ণগঞ্জের দুটি রুটে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দেওয়া আরও ১০টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ তথ্য জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপপরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবুলাল বৈদ্য। তিনি বলেন, লঞ্চমালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি রুটে আরও ১০টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-মতলব রুটে নয়টি ও নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ রুটে একটি। এক বছরের মধ্যে সানকেন ডেকের এ লঞ্চগুলোকে হাইডেক লঞ্চে পরিবর্তন করার শর্ত দেওয়া হয়েছে। লঞ্চগুলোর দৈর্ঘ্য ৬৫ থেকে ৬৯ ফুটের মধ্যে। সোমবার অনুমতিপত্র ইস্যুসহ রুট পারমিট দেওয়া শুরু হয়েছে। বাবুলাল বলেন, এর আগে দুই দফায় ২২টি সানকেন ডেক লঞ্চের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরেকটি হাইডেকের লঞ্চ আগে থেকেই চলাচলের অনুমতি ছিল। সব মিলিয়ে এখন ৩৩টি লঞ্চ নারায়ণগঞ্জে চলাচল করছে। বাংলাদেশ নৌপরিবহন (যাত্রী) সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জোনের সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘আমরা সব লঞ্চ চলাচলের অনুমতি চাই। চলমান টানাপোড়েনের ফলে ইতোমধ্যে ২০টি লঞ্চ কেটে (স্ক্র্যাপ) বিক্রি করে দিয়েছেন লঞ্চমালিকরা।’ যাত্রী সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের লঞ্চ চলাচলের রুট মরে গেছে। এখন যাত্রী নেই বললেই চলে। নানা কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে। এর আগে ২৪ এপ্রিল সানকেন ডেকের ১৮টি লঞ্চ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়। পরে আরও চারটি লঞ্চের অনুমতি দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এসব লঞ্চের দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট বা তার অধিক। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচটি রুটে মোট ৭০টি লঞ্চ চলাচল করত। রুটগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ-রামচন্দ্রপুর, নারায়ণগঞ্জ-নড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জ-মতলব। দিনে ৪-৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করত। উল্লেখ্য, ২০ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গোর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল আফসার উদ্দিন ডুবে ১০ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলাচলকারী সানকেন ডেকের লঞ্চ বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ।

সর্বশেষ খবর