বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় জেলেপল্লীতে হাহাকার

রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি

সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় জেলেপল্লীতে হাহাকার

বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা। উপজেলাটি মৎস্য স¤পদের ভাগার হিসেবে পরিচিত। এখানকার অধিকাংশ পরিবারই জেলে পেশায় নির্ভর। বর্তমানে দেশীয় প্রজাতির মাছের হার কমে গেলেও তুলনামূলকভাবে দক্ষিণ অঞ্চলে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন। কিন্তু ভাগ্যবদল হয়নি ইলিশ শিকারি জেলেদের। টানা ৬৫ দিনের অবরোধে জেলে পল্লীতে চলছে হাহাকার। উপকূলের জেলে পরিবারগুলো অভাব-অনটন আর চরম হতাশার মধ্যে দিন পার করছে। বঙ্গোপসাগর ও নদীর মাছকে ঘিরেই এখানকার জেলেদের জীবন ও জীবিকার চাকা ঘুরে। একদিকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ, অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে জেলেদের চরম দূর্দিন যাচ্ছে। প্রতিটি মুহূর্তই যেন হতাশার মধ্যে কাটছে। সংসারের ব্যয়ভার বহন ও মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া দাদনের ঋণের টাকা শোধ নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শত শত জেলে পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে নদীর তীরে বসে বেকার সময় কাটানোর কারণে অনেকে আবার অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারে ৬৫ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ বছর ২ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রামের জেলে আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা সাগরে মাছ ধরে সংসার চালাই। অবরোধ একটা যেতে না যেতেই আর একটা চলে আসে। আমাদের কথা কেউ চিন্তা করে না। আমাদের কেউ খবর নেয় না। নয়ারচর এলাকার জেলে সজীব বলেন, সরকার সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্ত কী লাভ? সাগরে তো ভারতের জেলেরা মাছ ধরতেছে। এদিকে আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে না খেয়ে আছি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাঙ্গাবালী উপজেলায় মোট ১২ হাজার ৮২০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তাদের জন্য ৮৬ কেজি করে চাল বরাদ্ধ হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে তাদের অনেককেই চাল দিয়েছি। যারা বাকি আছে তারাও পেয়ে যাবে। জেলেদের দূর সময় আমরা সার্বক্ষণিক তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবা।

সর্বশেষ খবর