রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বাড়ছে ধান সরবরাহ, কমছে দাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

বাড়ছে ধান সরবরাহ, কমছে দাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে ধানের সরবরাহ বাড়ায় কমছে দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ মোকামে সব ধরনের ধানে মণপ্রতি দাম কমেছে ৭০-১০০ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ ঠিক থাকলে ধানের দাম যেমন আরও কমবে, তেমনি স্থিতিশীল থাকবে চালের বাজার।

জানা যায়, শত বছরের বেশি সময় ধরে আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর ভিওসি ঘাটে বসছে ধানের হাট। এটি দেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মোকাম হিসেবে পরিচিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ আশপাশ জেলার কৃষকদের ধান কিনে আশুগঞ্জ আনেন ব্যাপারীরা। এ ধান চলে যায় জেলার আড়াই শর বেশি চালকলে। এখানকার চাল সরবরাহ করা হয় চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায়। চলতি বছর হাওরাঞ্চলে অকাল বন্যা ও শিলাবৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যায় আশুগঞ্জ মোকামে। ফলে ভরা মৌসুমেও চড়া ছিল দাম। অস্থির ধানের বাজারের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে চালের বাজারেও। মোকামে ধান সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধান ও চালের দাম কমতে শুরু করেছে। মোকামে জোগান বাড়ায় এখন প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার মণ ধান বিকিকিনি হচ্ছে। বর্তমানে বিআর-২৮ জাতের ধান প্রতি মণ ১১০০-১১৩০ ও বিআর-২৯ বিক্রি হচ্ছে  ১০৩০-১০৬০ টাকায়। মহিউদ্দিন নামে এক ব্যাপারী বলেন, কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে আশুগঞ্জ মোকামে নিয়ে আসেন তিনি। এখন মোকামে ধানের সরবরাহ বেড়েছে। এর ফলে দামও কিছুটা কমেছে। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের বাজারদর অনুযায়ী চালের দাম ওঠানামা করে। তবে ঢাকার বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার থেকে প্রচুর পরিমাণ চাল সংগ্রহ করায় চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।  চালের বাজার ঠিক রাখতে অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানান আশুগঞ্জ মোকামের ব্যবসায়ীরা। আশুগঞ্জ উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হেলাল সিকদার বলেন, ধানের বাজার বেড়ে গেলে এর প্রভাব চালের বাজারেও পড়ে। এখন মোকামে ধানের সরবরাহ বাড়ছে। সেজন্য চালের দরও কমেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকারিয়া মোস্তফা বলেন, ধান ও চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর