শিরোনাম
রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বৃষ্টি হলেই মরণফাঁদ ১৪ কিমি সড়ক

মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা

 বৃষ্টি হলেই মরণফাঁদ ১৪ কিমি সড়ক

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জেলা শহর থেকে পাটকেলঘাটা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার। বৃষ্টি হলেই মহাসড়কের এ অংশ পরিণত হয় মরণফাঁদে। রাস্তায় যত্রতত্রভাবে মাটি পড়ে থাকায় বৃষ্টির পানিতে পিচ্ছিল হয়ে যায়। তখন প্রতিনিয়ত ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে এ সড়কে চাকা পিছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের বিনেরপোতা-সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহ মো. বজলুর রহমান সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল গ্রামের কাদির ফকিরের ছেলে ও আবদুস সালাম একই এলাকার ময়েন উদ্দিন ড্রাইভারের ছেলে। কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক কিশোর রায় বলেন, বৃষ্টি হলেই সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কে বেতনা নদী খননের পড়ে থাকা মাটি ভিজে পিছলে দুর্ঘটনা ঘটছে। এক মাস ধরে বেতনা খননের মাটি মিনি ট্রাক, লরি ও পাওয়ারটিলারে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে রাস্তায় যত্রতত্র পড়ছে মাটি। ফলে রোদের সময় ধুলা আর বৃষ্টির কারণে কাদামাটিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি নামলেই সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই। এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সবশেষ শক্রবার রাতে মহাসড়কের দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ত্রিশমাইল নামক স্থানে বৃষ্টির মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আহত হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক শাকিলা ইসলাম জুঁই ও মনিরুল ইসলাম মনি। এর এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ বৃষ্টি হলে বিনেরপোতা থেকে শহর পর্যন্ত এলাকায় আধা ঘণ্টার ব্যবধানে সড়কে পড়ে থাকা মাটিতে পিছলে প্রায় অর্ধশত মোটরবাইক চালক ও আরোহী দুর্ঘটনার শিকার হন। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, বিভিন্ন সরকারি অফিস, প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে নদী খননের মাটি পরিবহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় ফেলছে। মাটির কারণে রোদে ধুলায় এবং বৃষ্টিতে কাদায় একাকার হয়ে যায় ১৪ কিলোমিটার সড়ক। বৃষ্টির সময় প্রায়ই দুর্ঘটনায় মানুষ হতাহত হচ্ছেন। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির রাস্তা পরিষ্কার করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর