সোমবার, ২০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে সমতলে বাড়ছে চা চাষ

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দিনাজপুরে সমতলে বাড়ছে চা চাষ

পাহাড়ি ঢালু জমি নয়, দিনাজপুরে সমতলে জমিতে দিন দিন বাড়ছে বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ। কৃষিনির্ভর দিনাজপুরে প্রাকৃতিক তেমন দুর্যোগ নেই। মাটিও উর্বর। ধান-লিচু-ভুট্টার পাশাপাশি সমতল ভূমিতে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে। পতিত জমি ছাড়াও কেউ কেউ ধানের জমিতে আবাদ করছেন চা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে শুরু করেছে এ অঞ্চলের চা চাষিরা। চা চাষে তৈরি হয়েছে নতুন সম্ভাবনা-যা বদলে দিতে পারে দিনাজপুরের অর্থনীতি। কৃষকরা জানান, চা চাষে ঝুঁকি কম। ধান, গম, ভুট্টা, টমেটোসহ সব ফসলেই ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া কোনো ফসলই বছরে ৭-৮ বার ফলন দেয় না। কিন্তু চা পাতা বছরে কমপক্ষে আট বার তোলা যায়। বোচাগঞ্জের চাষি ফজলে রাব্বি তিন বছর আগে চা চাষ শুরু করেছেন। তার জমিতে এখন সবুজ চা পাতায় ভরে গেছে। তাকে দেখে অনেকে চা বাগান করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কয়েকজন চা আবাদ শুরু করেছেন। বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা এসে পরামর্শ দিয়েছেন।

ফজলে রাব্বি বলেন, পঞ্চগড় থেকে চা গাছের চারা এনে তিনি নিজস্ব জমিতে পরীক্ষামূলক বপন করেন। তার তিন একর জমিতে প্রায় ১৮ হাজার চা গাছ আছে। খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ টাকা। দুই বছর থেকে চা পাতা বিক্রি করছি। বছরে কমপক্ষে ৮ বার চা পাতা বিক্রি করা যায় এবং প্রতিবারই আগের চেয়ে চা পাতা বেশি পাওয়া যায়। বর্তমান তিনি ৪৫-৫০ দিন পর চা পাতা বিক্রি করেন। একটি চা কোম্পানি বাগানে এসে চা পাতা নিয়ে যায়। প্রতি কেজি চা পাতা ১৬-২৭ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। চা বাগান ঘিরে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে।

সর্বশেষ খবর