শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

যে গ্রামের ৮৫ ভাগ নলকূপে আর্সেনিক

কুমিল্লা প্রতিনিধি

যে গ্রামের ৮৫ ভাগ নলকূপে আর্সেনিক

লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের ৮৫ শতাংশ নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় চলমান আর্সেনিক পরীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গ্রামবাসী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, হাজীপুর গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার মানুষের খাওয়ার পানির চাহিদা মেটাতে রয়েছে আড়াই শ অগভীর নলকূপ। ১৭, ১৮ ও ২১ জুন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নিয়োজিত লোকজন ওই গ্রামের ১৯২টি নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, ১৬৪টির পানিতেই রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক। পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা প্রতি লিটারে ৫০ পিপিবি হলেও হাজীপুর গ্রামের ১৭টি নলকূপের পানিতে ১০০০, ৫২টিতে ৫০০, ৪২টিতে ৩০০, ১৮টিতে ২০০ ও ৩৫টির পানিতে ১০০ পিপিবি আর্সেনিক রয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের রাসেল আহমেদ ও তানভীর বলেন, ‘হাজীপুরের ৮৫ ভাগ নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে। ব্যক্তিগত ছাড়াও বিভিন্ন এনজিওর দেওয়া নলকূপের পানিতেও আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে। যেসব নলকূপের পানিতে আর্সেনিক পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর মুখে লাল রং করে দিচ্ছি।’ ১ হাজার পিপিবি মাত্রার আর্সেনিক পাওয়া নলকূপের মালিক আবুল কাশেম ও আবুল হাসেম বলেন, ‘জেনেশুনে আর্সেনিকের মতো বিষ নিয়মিত পান করছি। যতদ্রুত সম্ভব গভীর নলকূপ স্থাপন করে বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার সুযোগ করে দিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ লালমাই উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যত দূর জেনেছি, ওই গ্রামের নলকূপগুলো ৬০-৭০ ফুট গভীরে স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারের গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্পে হাজীপুর গ্রামকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’ লালমাই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রওনক জাহান বলেন, ‘বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন স্যারকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে অনুরোধ করেছি।’ জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উল্যাহ বলেন, ‘চলমান জরিপ শেষে যে গ্রামে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি দেখব, সে গ্রামে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারিভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে।’

সর্বশেষ খবর