স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আদলে ঝিনাইদহে তৈরি করা হয়েছে প্রতীকী সেতু। মুল সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শহরের পায়রা চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল এই প্রতীকী সেতু নির্মাণ করা হয়।
অবিকল পদ্মা সেতুর মতো দেখতে এই সেতু নজর কেড়েছে ঝিনাইদহবাসীর। উৎসুক জনতা শহরে এলে ক্যামেরাবন্দি করছেন, তুলছেন সেলফি। পায়রা চত্বরে পাশে বসে কাজ করা প্রেম দাস বলেন, আমাদের তো আর সাধ্য নেই টাকা খরচ করে মাওয়া গিয়ে সেতু দেখার। তাই আমার সামনেই পদ্মা সেতু দেখতে পাচ্ছি। এটি দেখে ভালো লাগছে। ঝিনাইদহ কলেজের ছাত্র রিফাত হোসেন বলেন, আমরা ঝিনাইদহে পদ্মা সেতু দেখতে পাচ্ছি। অবিকল সেতু তৈরি করা হয়েছে শুনে বন্ধুদের সঙ্গে দেখতে এসেছি। মনে হচ্ছে আমি পদ্মা সেতুর পাশেই আছি। খুবই ভালো লাগছে। পুরো একই রকম দেখতে। জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র সাইদুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তাই করে দেখান। তার উদাহরণ পদ্মা সেতু। শত বাধা ও ষড়যন্ত্র পেরিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ এটাই প্রমাণ করে শেখ হাসিনা তার বাবার মতোই আপোষহীন, অটল ও অবিচল। কোনো চাপের কাছে তিনি মাথা নত করেন না। প্রধানমন্ত্রী কি নির্মাণ করেছেন, তা দেখতে কেমন এ জেলার অনেকে এখনো দেখতে পারেননি। এ জন্য প্রতীকী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কনক কান্তি দাস বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহ। কৃষিনির্ভর এই জেলায় পিঁয়াজ, ফুলসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আশায় বুক বেঁধেছেন ঝিনাইদহের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। স্বপ্নের পদ্মা সেতু তাদের মনে আনন্দের বন্যা বয়ে এনেছে।