সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ আট বেইলি সেতু

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

ঝুঁকিপূর্ণ আট বেইলি সেতু

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সড়ক। এই সড়কের কুমিল্লা অংশের আট কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে ৮টি বেইলি সেতু। সব সেতুই রয়েছে ঝুঁকিতে। সেতুগুলোতে সারা বছরই ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনো পাটাতন সরে ফাঁকা জায়গায় চাকা ঢুকে গাড়ি উল্টে যায়, কখনো বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলের চাকা আটকে যায় ও মানুষের পা ঢুকে পড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো হচ্ছে,  দৌলতপুর নজরুল গেইট, সীমানারপাড়, মুকলিশপুর, কড়ইবাড়ি কোড়েরপাড়, মেটংঘর ও পীরকাশিমপুর গ্রামে দুইটি সেতু। সড়ক বিভাগ,  যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,  সেতুগুলো অনেক দিন যাবত জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে। বৃষ্টি হলে হয়ে উঠে আরও ভয়ংকর। ট্রাক্টর, সিএনজি চালিত অটোরিকশা পড়ে গিয়ে অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। বেশি ওজনের ট্রাক যাওয়ার সময় পাটাতন দেবে গিয়ে কাত হয়ে উল্টে পড়ে। পুরনো এই সেতুগুলোর স্থানে নতুন পাকা সেতু স্থাপনের দাবি জানান তারা।  মুরাদনগর হায়দরাবাদ হাজী ইয়াকুব আলী ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদুজ্জামান বাবু বলেন, তিনি এই সড়কে চলাচল করেন। গত মে মাসেও কড়ইবাড়ি সেতু ভেঙে ট্রাক ও সিএনজি অটো রিকশা খালে পড়ে যায়। এতে ৬ জন যাত্রী আহত হন। সেতু ভেঙে যাওয়ায় প্রায়ই চলাচলে দুর্ভোগে পড়েন। কড়ইবাড়ি সেতু ভেঙে যাওয়ায় তিনি ৮ কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যাতায়াত করেছেন। স্থানীয় বাঙ্গরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন বলেন, এই সড়কের বেইলি সেতুগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে মকলিশপুর সেতুটির অবস্থা বেশি খারাপ। সেতুটিতে কাঠের টুকরা দিয়ে ঠেস  দেওয়া হয়েছে। ভেঙে গেছে পাশের পাটাতন। যেকোনো মুহূর্তে এটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর রুটের বেইলি সেতুগুলোর স্থানে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য আমরা শিগগিরই প্রস্তাবনা জমা দেব। পর্যায়ক্রমে বেইলি  সেতুগুলো সরিয়ে ফেলা হবে। তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত ওজন নিয়ে পরিবহনগুলো নিয়মমাফিক পারাপার হলে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয় না। এ বিষয়ে  সবার সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর