শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

লক্ষীপুরে ঢেঁড়স খেতে মোজাইক ভাইরাস, দিশাহারা কৃষক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষীপুরে ঢেঁড়স খেতে মোজাইক ভাইরাস, দিশাহারা কৃষক

লক্ষ্মীপুরে তিন গ্রামের শতাধিক কৃষকের আবাদ করা ঢেঁড়স খেতে হানা দিয়েছে মোজাইক ভাইরাস। ভাইরাসের প্রভাবে ঢেঁড়স গাছ-পাতা ও ফল হলুদ রং ধারণ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আশপাশের অন্য ফসলের মাঠেও ছড়িয়ে পড়ছে এ ভাইরাস। এতে কৃষকরা বড় আর্থিক লোকসানের মুখে পড়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। নিম্নমানের বীজ দামি হিসেবে বলে উচ্চমূল্যে সরবরাহ করার অভিযোগ করেন তারা। দোকানিরা বলছেন, আবহাওয়ার কারণে এমন হচ্ছে। কৃষি বিভাগ বলছে, সাধারণত মানহীন বীজ থেকেই এ ভাইরাস ছড়ায়। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা যায়, কয়েক বছর ভালো ফলন হওয়ায় এবারও স্বপ্ন নিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢেঁড়স আবাদ করেছেন লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা। চলতি বছর জেলায় ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। ফলনের সময় এসে স্বপ্ন ভাঙলো চাষিদের। লক্ষ্মীপুর সদরের টুমচর, কালিরচর ও ভবানীগঞ্জ গ্রামের শতাধিক চাষি ঢেঁড়স চাষ করে বিপাকে পড়েছেন। কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, দোকানিরা নিম্নমানের বীজ দামি প্যাকেটে ভরে করে বেশি দামে বিক্রি করে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বীজের কারণে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাঠের পর মাঠ ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আশপাশের বরবটি, করলা ও শসাসহ অন্যান্য ফসলের মাঠেও এর প্রভাব পড়ছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ সরকারের সহায়তা দাবি করেন তারা। জেলা শহরের একাধিক বীজ বিক্রেতা বলেন, আবহাওয়ার কারণে ফসলে ভাইরাস আক্রমণ করেছে। নিম্নমানের বীজ উন্নত প্যাকেটে ভরে বেশি দামে বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন তারা। সচেতন মহল বলছে, বীজ ব্যবসায়ীদের ওপর নজরদারি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি থাকলে প্রতারণার সুযোগ থাকবে না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন বলেন, ছোট ছোট পোকার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়। এটি কোনো খেতে ছড়িয়ে পড়লে পুরো ফসল নষ্ট করে ফেলে। পরপর দুই বছর একই জমিতে একই ফসল চাষ না করা এবং এ বছর যে জমিতে ঢেঁড়স চাষ করা হয়েছে, আগামী বছর ওই জমিতে অন্য ফসল করলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি জৈবসার ব্যবহার করতে হবে। বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা। 

সর্বশেষ খবর