ভরা মৌসুমের শুরুতেই আমের জোগান কম থাকায় সংকটে পড়েছে আড়তগুলো। আম কম আমদানি হলেও নেই আমের দাম। তাই আম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আড়তদার ও বাগানচাষিরা। গতকাল সকালে ঠাকুরগাঁও রোডের আমের একটি অস্থায়ী আড়তে গেলে এসব জানান আম ব্যবসায়ীরা। কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার জেলায় মোট চার হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। তার মধ্যে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে। আম ব্যবসায়ীরা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে জনপ্রিয় সূর্যপুরী আম গত বছর প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু এ বছর তার অর্ধেক দামও নেই। বর্তমান বাজার মূল্য ৭৫০ টাকা মণ। তারপরও ক্রেতা পাওয়া যায় না। গত বছর এ সময়ে ট্রাক ও পিকআপে করে আম আনতেন বাগান চাষিরা। কিন্তু এখন ভরা মৌসুমেও আমের জোগান নেই। এ বছর দফায় দফায় শিলাবৃষ্টির কারণে আমের গুণগত মান অনেক খারাপ হয়ে গেছে। তাই দামে অনেক ফারাক। এ ছাড়াও বাইরের ব্যবসায়ীরাও আসছেন না। আমবাগান চাষিরা বলছেন, এবারের শিলাবৃষ্টির আঘাতে বাগানের এক-তৃতীয়াংশ আম নষ্ট হয়ে গেছে। গাছে যে কয়েকটা আম ছিল তা দিয়েই ক্ষতি পুষিয়ে আসার প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু তা আর হয়নি। শিলার আঘাতে ও আবহাওয়ার কারণে আমের সাইজ ভালো হয়নি এবং দাগও রয়েছে। যার কারণে আমের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ৭০০ টাকা মণও বিক্রি হচ্ছে না সূর্যপুরী আম। আমরা এবার হতাশাগ্রস্ত। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, এ বছর আমের মুকুল দেখে অনেক বেশি আমের প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু মার্চের সময় অধিক তাপমাত্রার কারণে মুকুল জ্বলে গেছে। তারপরও জেলায় দফায় দফায় শিলাবৃষ্টির কারণে কিছু আম নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে বাজারে জোগান কম। তবে যে পরিমাণ আম এখনো রয়েছে তা দিয়ে জেলার চাহিদা পূরণ হবে বলে জানান তিনি।