মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

আখাউড়ায় ওভারপাসের দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া রেলওয়ে জংশন এলাকার লাল বাজার-বড় বাজার রেল গেটে ওভারপাস চান এলাকাবাসী। গত ১৩ জুন রেল সচিব বরাবরে দাবি জানিয়ে একটি আবেদন করেছেন তারা। আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিসহ অর্ধশত মানুষ ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। আবেদনপত্র ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্যবসায়িক এলাকা লাল বাজার ও বড় বাজার। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বড় বাজার এলাকায়। রয়েছে একটি মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ। আখাউড়া-চট্টগ্রাম রেলপথ এ দুটি বাজারকে আলাদা করেছে। বর্তমানে লাল বাজার এলাকায় একটি রেলক্রসিং রয়েছে। পৌরশহরের দেবগ্রাম, রাধানগর, লাল বাজার, বড় বাজার, শান্তিনগর, বরিশলসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ দৈনন্দিন কাজে প্রতিদিন রেলক্রসিং পার হয়ে চলাচল করে। এ ছাড়াও চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন শত শত রোগী এই ক্রসিং পার হয়ে সরকারি হাসপাতালে যায়। মসজিদ মাঠে ঈদের নামাজ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল লাইন প্রকল্পের কাজ চলছে।

লাল বাজার রেলক্রসিংয়ের স্থলে নতুন আরও কয়েকটি নতুন রেলপথ স্থাপন করা হবে। এ কারণে রেল ক্রসিংটি আরও ব্যস্ত হয়ে যাবে। ফলে এই ক্রসিং দিয়ে সাধারণ মানুষসহ রোগীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে। অপর দিকে একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান রেলক্রসিংটি বন্ধ করে প্রায় ১ কিলোমিটার সামনে ঘুরিয়ে রেলক্রসিং করার পরিকল্পনা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। এতে নতুন করে জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে। এমনিতেই কয়েকবার অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে সরকারের প্রচুর অর্থের অপচয় হবে। এক কিলোমিটার ঘুরে যাওয়ার কারণে একদিকে সময় বেশি লাগবে এবং যানবাহনের ভাড়া বেড়ে যাবে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শিকার হবে। কিন্তু এখানে একটি ওভারপাস করা হলে সরকারেরও সাশ্রয় হবে, জনগণের ক্ষতি কম হবে। রোগী এবং সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বর্তমান রেলক্রসিংয়ের স্থলে ওভারপাস করার দাবি জানান তারা। দরখাস্তে স্বাক্ষরকারী বড় বাজার মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, মসজিদের সামনের মাঠে ঈদের জামাত এবং ওয়াজ মাহফিল করা হয়। এতে মসজিদের মুসল্লিদের যাতায়াত এবং ঈদের জামাতসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে সমস্যা হবে। কিন্তু বর্তমান রেলগেটে ওভারপাস করা হলে এই জায়গাটি অধিগ্রহণ করতে হবে না। উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন বলেন, এক কিলোমিটার ঘুরিয়ে রেলক্রসিং করা হলে সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে। বহু জায়গা অধিগ্রহণ করতে হবে। এতে জনগণের বেশি ক্ষতি হবে। তবে বর্তমান রেলক্রসিংয়ের স্থলে ওভারপাস করা হলে সরকারের অর্থও সাশ্রয় হবে এবং জনগণের কম ক্ষতি হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর