কুষ্টিয়ায় ভাবিকে হত্যার দায়ে দেবরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে অপর একটি অস্ত্র মামলায় একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (এক) বিচারক মো. তাজুল ইসলাম পৃথক এ দুটি মামলার রায় দেন। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী পৃথক এ দুটি রায়ের বিষয় নিশ্চিত করেছেন। আদালত ভাবি রওশনাকে (৪০) হত্যার দায়ে দেবর দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম চর রামকৃষ্ণপুর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে শুকুর মালিথাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদ দেন। এ ছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি শুকুর মালিথা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম চর রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুল জলিল চৌকিদারের স্ত্রী রওশনা ২০১৩ সালে ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির উঠানে মাটির গর্ত করার সময় দেবর শুকুর মালিথা পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাবি রওশনাকে কোদাল দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত রওশনার ভাই আলী আজগর বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফয়সাল হোসেন ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর আদালতে মামলার চার্জশিট প্রদান করেন। এর পর আদালত গতকাল রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে। অপরদিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার পৃথক একটি অস্ত্র মামলায় একই আদালত এক আসামির ১০ বছরের কারাদ এবং অপর একজনকে বেকসুর খালাস দেন। কারাদ প্রাপ্ত আসামি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথুলিয়া বাজারপাড়া গ্রামের আকবার মালিথার ছেলে তাজুব্বর মালিথা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
