মাত্র তিন দিন বাকি ঈদুল আজহার। এখনো বিক্রি নেই লোহার সামগ্রীর। প্রতি বছর জয়পুরহাটের কামারপল্লী টুং টাং শব্দে মুখরিত থাকে। এবার লোহা ও কয়লার দাম বাড়ায় লোহার সামগ্রী তৈরিতে পুঁজি সংকটে পড়েছেন কামাররা। এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতার দাবি করেছেন কামার শিল্পে জড়িতরা। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, গত বছরও কোরবানির ঈদের আগে ব্যস্ত সময় পার করেছেন দুর্গাদহ ও পুনট বাজারের কামার শ্রমিকরা। ঈদের আগে লোহার সামগ্রীর চাহিদা মেটাতে যেখানে দিনরাত ব্যস্ত থাকতেন তারা এবার সেই ব্যস্ততা নেই। ঈদ ঘিরে অনেকে কামার শিল্পীদের কাছে পশু কাটার ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানা জিনিস ক্রয় বা মেরামত করে থাকেন। লোহার সামগ্রীর দাম বেশি হওয়ায় কমে গেছে এর চাহিদাও। বিপাকে পড়েছেন কামার শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। সদর উপজেলার দুর্গাদহ বাজারের অনীল কর্মকার, কালাই উপজেলার পুনট বাজারের বিপুল কর্মকার জানান, গত বছর যে লোহার দাম ছিল প্রতি কেজি ৮০ টাকা এখন তা কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর ১০ টাকা কেজির কয়লা কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। লোকসান ও পুঁজি সংকটে এ শিল্পে জড়িতদের সংখ্যা দিন দিন কমছে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ক্রেতা সংখ্যা অনেক বেশি থাকে এবার চিত্রটা ভিন্ন। সময়মতো বেতন দিতে না পারায় কর্মচারীও পাওয়া যাচ্ছে না। জয়পুরহাট বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ বলেন, কোরবানি ঈদের আগে কামার শিল্পীদের তৈরি সব পণ্যের চাহিদা রয়েছে। তাদের আর্থিক বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।