শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ঈদ পর্যটনে বন্যার প্রভাব ব্যবসায়ীদের ক্ষতির শঙ্কা

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

ঈদ পর্যটনে বন্যার প্রভাব ব্যবসায়ীদের ক্ষতির শঙ্কা

ভ্রমণপিয়াসী, চঞ্চল প্রকৃতির মানুষ একটু অবকাশ পেলেই ছুটে যায় দিক-দিগন্তের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলীয় পর্যটনবহুল প্রাকৃতিক সুন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি মৌলভীবাজার জেলায় ঈদের ছুটিকে আনন্দময় করে তোলার জন্য রয়েছে দর্শনীয় অনেক স্থান। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যেরে কাছাকাছি থেকে ঈদের ছুটি উপভোগ করতে চান তারা। কিন্তু সিলেট বিভাগে চলমান বন্যার প্রভাব পড়বে মৌলভীবাজারের পর্যটন খাতে। বন্যার কারণে অনেকেই এ জেলায় আসতে চাচ্ছেন না। পর্যটক ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে ঈদের সপ্তাহ দিন আগ থেকে হোটেল-মোটেলে বুকিং শুরু হলেও এ বছর তেমনটা হচ্ছে না। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কভিড-১৯ এর কারণে বিগত তিন বছর ঈদের ছুটিতে পর্যটন স্পট বন্ধ থাকার পর এ বছর গত ঈদুল ফিতরে সম্পূর্ণ খোলা হলে দেখা মেলে পর্যাপ্ত পর্যটকের। তাই জেলার পর্যটন স্পটগুলো ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। পর্যটক ব্যবসায়ীরাও হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও রিসোর্ট প্রস্তুত করে রেখেছেন। কিন্তু এখনো হোটেল-মোটেলে বুকিং শুরু  হচ্ছে না। তাই পর্যটক আগমনে শঙ্কায় রয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এ বছরও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পর্যটন ব্যবসায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা সিলেট এবং মৌলভীবাজার একসঙ্গে ঘুরতে আসেন। কিন্তু এবার সিলেট ও মৌলভীবাজারের একাংশে বন্যা থাকায় অনেকেই আসতে চাচ্ছেন না। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় টিলাঘেরা সবুজ চা বাগান, খাসিয়া পল্লী, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর, দেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত মাধবকুণ্ড, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, ছায়া নিবিড় পরিবেশে অবস্থিত নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, ঝরনাধারা হামহাম জলপ্রপাত, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, শিল্পকলা সমৃদ্ধ মণিপুরীসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, শ্রীমঙ্গলের নীলকণ্ঠের সাত রঙের চা, আন্তর্জাতিক মানের হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান, চা গবেষণা কেন্দ্র, কুলাউড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাববাড়ী, মুরইছড়া ইকোপার্ক, গগণ ঠিলা, দোলনচাপা ইকোপার্ক, মৌলভীবাজার সদরের বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক, মুন ব্যারেজ, রাজনগরের কমলারানীর দিঘিসহ জেলার বিভিন্ন চা বাগান জীবনধারা ও সংস্কৃতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ জনপদ যেকোনো পর্যটকের মন ও দৃষ্টি কেড়ে নেবে। মৌলভীবাজার পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রীমঙ্গল গ্রিনলিফ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী এস কে দাস সুমন বলেন, সিলেটের বন্যার কারণে মৌলভীবাজারে পর্যটন খাতে ব্যাপক ধস নেমেছে। পর্যটকরা মনে করছেন পুরো সিলেট বিভাগ বন্যা আক্রান্ত তাই এ বছর মৌলভীবাজারেও পর্যটক আসতে চাচ্ছে না। বিগত ঈদের ছুটিতে সাত-আট দিন আগে হোটেল-মোটেলে বুকিং শেষ হয়ে যেত। কিন্তু এ বছর এখনো বুকিং শুরু হয়নি।

 

সর্বশেষ খবর