শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সাভার থেকে পাটুরিয়া ২৫০ টাকার ভাড়া ৫০০

সাভার প্রতিনিধি

পরিবহনের সংকট, তাই এখন গরুর ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছে মানুষ। সাভার থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ভাড়া দ্বিগুণ হাঁকানো হচ্ছে বাস ও মিনিবাসে। স্বাভাবিক সময়ে রাজধানী থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা যেতে লাগে ৭০ টাকা। ঈদযাত্রায় একই পথের জন্য যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা। অন্যদিকে সাভারে আমিন বাজার থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যেখানে ২৫০ টাকা ভাড়া, সেখানে এখন নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। রাজধানীর আমিন বাজারে ভোর থেকে গাজীপুর চন্দ্রাগামী মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বাড়ি যাওয়ার জন্য নেই পর্যাপ্ত বাস। আর এ সুযোগে ইচ্ছামতো ভাড়া হাঁকাচ্ছে বাসগুলো। স্বাভাবিক সময়ে সাভার থেকে চন্দ্রা যেতে লাগে ৭০ টাকা। ঈদযাত্রায় একই পথের জন্য যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা।

অন্যদিকে গাবতলী থেকে ধামরাই পর্যন্ত যেখানে ২৫০ টাকা ভাড়া, সেখানে এখন নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। ঢাকায় চলাচলকারী বাসগুলো যাত্রাবাড়ী থেকে বাড়তি ভাড়ায় ঘরমুখো মানুষকে নিয়ে রওনা হচ্ছে গন্তব্যের উদ্দেশে। সেলফি পরিবহনের বাসে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত যাত্রীপ্রতি ভাড়া নেওয়া হয় ৪০০ টাকা। 

ওই বাসের যাত্রী কাউসার হোসেন রনি বলেন, ‘ভাই, বাড়ি যেতে হবে। এখন কী করব বলেন? তারা যেমন ইচ্ছা ভাড়া নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে নিচ্ছে না; নামিয়ে দিচ্ছে। মানুষ কোনো উপায় না পেয়ে তাদের ভাড়াতেই যাচ্ছে।’

সেলফি পরিবহনের সুপারভাইজার লোকমান হোসেন বলেন, পাটুরিয়ার ভাড়া ৪০০ নিচ্ছি। ভাড়া তো ৭০ টাকা। তাহলে কেন এত বেশি ভাড়া নিচ্ছেন? উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন বেশি নিচ্ছি গেলে বুঝতে পারবেন। গেলে চলেন; না হলে থাকেন। চন্দ্রা থেকে চলবিল পরিবহনের বাস যাচ্ছে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত। রাজধানীতে চলা এ বাসে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। ওই বাসের যাত্রী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘ভাই, বাইক বন্ধ করে মানুষের ভোগান্তি বাড়াইছে। আমাদের এই দুর্ভোগ দেখার কেউ  নেই। পরিবহনের লোক কোনো দিন যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখেনি আর  দেখবেও না। সরকার তাদের খেদমত করে। আর আমরা পচে মরি। যেমন খুশি ভাড়া নিচ্ছে। কই সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তো কিছু বলে না। ভাড়া জানতে চাইলে চলবিল পরিবহনের সুপারভাইজার জাহিদুর রহমান রাসেল বলেন, ভাড়া ৫০০। গেলে বসেন না গেলে গাড়ি থেকে নামেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কেন দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদের বাজার, বড় ভাই। কিচ্ছু করার নাই বড় ভাই।’ আশুলিয়ার বাইপাইল পরিবহনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে টিকিট বিক্রেতা মোমিনুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আমাদের গাড়িতে টিকিট নাই। ঈদযাত্রার আগে গাবতলী থেকে আরিচাঘাট নিত ৭০ টাকা। আরিচা ও পাটুরিয়া পর্যন্ত ভাড়া নিত ২৫০ টাকা। এখন গাড়িগুলো কেন বেশি নিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই, মানুষের দরকার বাড়ি যাওয়া। যে যেমনে পারতেছে যাচ্ছে। ঢাকার লোকাল বাসগুলো ভাড়া যেমন পারতেছে নিচ্ছে। বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে জানতে ঢাকা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতিকে কল করেও পাওয়া যায়নি। সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন হওয়ার কথা না। আমরা তো যানজট নিয়ে মহাসড়কে ব্যস্ত। কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর