শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে কর্মস্থলে ফিরছেন নিম্নআয়ের মানুষ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে কর্মস্থলে ফিরছেন নিম্নআয়ের মানুষ

ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন নিম্নআয়ের মানুষ। বাস ভাড়া বেশি থাকায় তপ্ত রোদে ট্রাকে করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন নেত্রকোনার নানা বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশু। নেত্রকোনার আন্তজেলা বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন উপজেলার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায় এ দৃশ্য।

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন নাসিমা আক্তার দম্পতি। কলমাকান্দার সিধলী গ্রামের বাড়িতে রেখে যাওয়া সন্তান ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে এসেছিলেন তারা। স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করেন গার্মেন্টে। বাড়ি আসার সময় পিকআপ ভ্যানে ৩০০ টাকা করে ভাড়ায় এসে ট্রাকে ফিরে যাচ্ছেন ২০০ টাকা করে। ৭০ বছর বয়সী জুলেখাও যাচ্ছেন মেয়ের সঙ্গে। নাতি-নাতনি দেখে রাখেন। কোনো রকম ছেলে-মেয়ের হাত ধরে ট্রাকে উঠলেও বারবার ঘাম মুছছিলেন এ বৃদ্ধা। গার্মেন্টকর্মী ইব্রাহিম জানান, গরমে স্ট্রোক করে মারা গেলেও কর্মস্থলে যেতেই হবে। এমনিতেই বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। যা কামাই করেছিলাম তা শেষ। কোনো রকম এখন কর্মে ফিরতে ২০০ টাকা ভাড়ায় যাচ্ছি মালামাল নেওয়ার ট্রাকে।

এদিকে বাস কাউন্টারে টিকিট না পেলেও বাইরে বাড়তি দামে মিলছে টিকিট। কাউন্টার বন্ধ রেখে বাইরে ৫০০-৬০০ টাকা করে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে গেটলকসহ বিভিন্ন বাসের। তিন থেকে চার ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে ঠেলাঠেলি করে কেউ কেউ নিচ্ছেন টিকিট। বারহাট্টা থেকে আসা শেখ শামীম ও তেলিগাতি থেকে আসা আলমগীর জানান, শাহজালাল কাউন্টার বন্ধ ছিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। কিন্তু বাইরে আবার গাড়ি ভরে যাচ্ছে। ৩০০ টাকার ভাড়া এখন নেওয়া হচ্ছে ৬০০-৭০০। আমরা কী করব। লাইনে দাঁড়িয়েই আছি। অনেকে টিকিট পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে তারা যাচ্ছেন ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে। বাসচালক জামাল উদ্দিন এবং টিকিট মাস্টার আবদুর রউফ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম টাকায় টিকিট বিক্রি করছেন বলে জানান। শাহজালাল কাউন্টারের মাস্টার বলেন, গাড়ি না এলে টিকিট দেব কী করে। তাই বন্ধ ছিল। বাইরে কারা টাকা বেশি নিচ্ছে তা আমাদের বিষয় নয়।

জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আন্তজেলা বাস টার্মিনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সাদেক মিয়া বলেন, বাস ভাড়া ১ টাকাও বেশি নেওয়া হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর