শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত দুই সন্তান নিয়ে দিশাহারা মা-বাবা

ভালুকা প্রতিনিধি

স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে নাছিমা আক্তারের সংসার। স্বামী কেরামত আলী চা বিক্রেতা। নাছিমা গৃহিণী। বড় মেয়ে কোহিনূর আক্তার কনা ও ছেলে নাবিল রহমান দুজনই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত।

নাছিমা জানান, ১০ বছর আগে মেয়ে কোহিনূরের থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে। তখন থেকে তার চিকিৎসা চলছে। দুই মাস আগে একই রোগ শনাক্ত হয় ছেলে নাবিলের। তারা বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কয়েকদিন পর পর দুই সন্তানের জন্য রক্তের খোঁজে যেতে হয় মানুষের দ্বারে দ্বারে। সম্প্রতি তাদের সন্তানের রক্তের দায়িত্ব নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভ্যুদয়। কোহিনূরের বয়স ১৩ বছর, আর নাবিলের ১৯ মাস। মেয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। কোহিনূরকে প্রতি মাসে এক ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। ডাক্তার বলেছেন, নাবিলকে একসঙ্গে তিন ব্যাগ রক্ত দিতে হবে। টাকার অভাবে দুই সন্তানের চিকিৎসা চালাতে এখন নিরুপায় মা-বাবা। নাছিমা বলেন, দুই সন্তানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা বাবদ এ পর্যন্ত বহু টাকা ব্যয় হয়েছে। ভিটা ও বসতঘর ছাড়া সহায়-সম্বল যা ছিল সন্তানদের চিকিৎসা বাবদ সব বিক্রি করে দিয়েছি। ডাক্তার জানিয়েছেন, অপারেশন করা হলে দুই সন্তান সুস্থ হয়ে উঠবে। এজন্য ১১ লাখ টাকা লাগবে। আমাদের পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। নাছিমার আকুতি, ১১ লাখ টাকা হলেই বেঁচে যাবে তার দুই সন্তান। তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ দানশীল মানুষের কাছে সহায়তা চেয়েছেন।

সর্বশেষ খবর