শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

ফরিদপুর ও ভাঙ্গা প্রতিনিধি

পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ফরিদপুরের কৃষকরা। পানি সংকটের কারণে একদিকে পাট জাগ দেওয়া যাচ্ছে না, অন্যদিকে খেতে শুকিয়ে যাচ্ছে গাছ। অনেকে বাধ্য হয়ে নোংরা ডোবায় পাট জাগ দেওয়ায় আঁশ কালচে রং ধারণ করছে। ফলে কাক্সিক্ষত দাম পাবেন না বলে শঙ্কায় আছেন তারা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ফরিদপুরে রেকর্ড পরিমাণ ৮৫ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। বীজ বপনের প্রথমদিকে বৃষ্টি হওয়ায় বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন কৃষক। পাট বড় হওয়ার পর বৃষ্টি না হওয়া এবং জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ায় মাঠের পর মাঠ পাট গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক গাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। পাট পরিপক্ব না হওয়ায় তা কেটে নিতে পারছেন না। তাছাড়া পাট জাগ দেওয়ার মতো পানি নেই কোথাও। অনেকেই পাট কেটে মাঠে, রাস্তায় এবং বাড়িতে ফেলে রাখছেন। কেউ কেউ ভ্যান-নসিমনে করে দূরে কুমার নদে নিয়ে পাট জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ফুলসূতি গ্রামের সারোয়ার, রমেন, কাইমুদ্দিন জানান, তীব্র রোদের কারণে পাট গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। এসব পাট কোনো কাজেই আসবে না। শুধু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। পাট আবাদ করে ব্যাপক লোকসানে পড়বেন তারা। সালথা উপজেলার ধর্মদী গ্রামের আবদুর রব মাতুব্বর বলেন, আবাদ করেছি। অনাবৃষ্টি আর প্রচণ্ড খরতাপে পাট গাছ খর্বাকৃতির হয়ে আছে। জুঙ্গুরদী গ্রামের ওহাব মিয়া বলেন, তিন বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। এক বিঘায় ১২-১৪ মণ পাট উৎপাদন হয়। আবাদ করতে খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর অধিক জমিতে পাট আবাদ করেছেন কৃষকরা। এদিকে পাটের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও নগরকান্দা উপজেলা। এখানকার চাষিদের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট। এবার পাট নিয়ে চাষিদের ভোগান্তির শেষ নেই। পানি সংকটের কারণে একদিকে যেমন পাট জাগ দিতে পারছেন না, পাশাপাশি দিনমজুরের দাম চড়া। সবমিলিয়ে বিপাকে পাটচাষিরা।

সর্বশেষ খবর