শিরোনাম
শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

‘আগোত ঘর ছিল না, এখন ঘর পেয়া অনেক খুশি’

আবদুল বারী, নীলফামারী

তিস্তা নদীবেষ্টিত নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা। বন্যা, নদীভাঙন এ উপজেলার মানুষের নিত্যসঙ্গী। তিস্তার ভাঙনের শিকার হয়ে অনেকে হারিয়েছেন ভিটেমাটি, হয়েছেন ভূমিহীন। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা বালাপাড়া ইউনিয়নের দুই সন্তানের জননী লিপি বেগম বলেন, ‘আমাদের কোনো ভূমি ছিল না। ভাঙা একটা ঘরোত থাকিছোনো। বৃষ্টির সময় খুব কষ্ট হইছিলো। এইবার পাকা ঘর হয়ছে, অ্যালা ভালো করি নিন পারির পারমো। মানুষের বাড়িত কাজ করে দিন চলে হামার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোর খুব উপকার করি দিল। আগোত মোর ঘর ছিল না। এখন ঘর পেয়া অনেক খুশি।’ এমন ৮৩৩টি গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ঠাঁই দিয়ে ডিমলা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার।

শেখ হাসিনার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো। নীলফামারী জেলায় বৃহস্পতিবার জমিসহ ঘর প্রদান করা হয় ৩৭৫ পরিবারকে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫০, ডোমারে ৫০, ডিমলায় ২৫, জলঢাকায় ১০০, কিশোরগঞ্জে ৫০ ও সৈয়দপুর উপজেলায় ১০০টি। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন জানান, এ উপজেলায় ৮৩৩টি গৃহহীন পরিবারের আবেদন পাওয়া যায়। আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ৭০৮টি এবং সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ১০০টিসহ মোট ৮০৮ পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার বাকি ২৫ পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর প্রদানের মাধ্যমে উপজেলাটি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হলো। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কোনো কারণে নতুন করে কেউ ভূমিহীন এবং গৃহহীন হলে একই প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ডিমলা উপজেলা শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার প্রকল্পের আওতায় এসেছে। আগামী জুনের মধ্যে অন্য পাঁচ উপজলায় ৬৮৮ পরিবারকে কর্মসূচির আওতায় এনে পুরো জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। জেলার ছয় উপজেলায় ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ছিল সাত হাজার ৪২টি। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৩৫৪ পরিবারকে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঘর পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা ৬৮৮ পরিবারের মধ্যে সদর উপজেলায় ১২০, ডোমারে ১৪৮, জলঢাকায় ১৬১, কিশোরগঞ্জে ৩০ ও সৈয়দপুরে রয়েছে ২২৯টি।

সর্বশেষ খবর