নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৪ সালে। ত্রিবার্ষিক ওই কমিটি অতিবাহিত করেছে ১৮ বছর। এ সময়ে স্থবির হয়ে পড়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম। সে স্থবিরতা কাটাতে ৩০ জুলাই আহ্বান করা হয়েছে সম্মেলনের। ওই সম্মেলন ঘিরে সরব হয়েছেন নেতা-কর্মীরা। সেই সঙ্গে উপজেলার অলিগলি পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে। শীর্ষ দুটি পদের লড়াইয়ে ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতারা জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন। দলীয় সূত্র জানান, ২০০৪ সালে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আনছার আলী মিন্টু সভাপতি এবং সহীদ হোসেন রুবেল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আনছার আলী মিন্টু পদ হারান। সেই থেকে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্মেলনের মাধ্যমে দল আরও গতিশীল, শক্তিশালী এবং যোগ্য ত্যাগী ও বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত কর্মীদের মূল্যায়ন হবে- এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তৃণমূল নেতারা। ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোনা মিয়া বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী বা দলকে জয়ী করার ক্ষেত্রে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মী জানান, এতদিন সম্মেলন হয়নি। অনেক ত্যাগী নেতা পেছনে পড়ে আছেন। নিয়মিত সম্মেলন হলে এ রকম হতো না।
আমরা চাই নেতৃত্ব তৈরি হোক। ত্যাগীরা মূল্যায়িত হোক। নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় নেতাদের সঙ্গে কর্মীদের দূরত্ব বেড়েছে। যা এখনো রয়েছে। জানা গেছে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরাও মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ’৮০-এর দশকের ছাত্রলীগ নেতা বর্তমান জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ এ কে আজাদ, সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা মো. সারোয়ার হোসেন ছাদের। জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর সব কিছুর অবসান হয়ে এখানে একটি নতুন নেতৃত্ব, একটি নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে এটাই প্রত্যাশা করি।
