বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাফার গুদাম ইনচার্জ (বাণিজ্যিক) মো. ফারুক হোসেনকে চলতি বছরের ১১মে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ এসএফসিএলে বদলি করা হলেও ২ মাস ধরে তিনি এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। সূত্রমতে, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের ডেপুটি চিফ অফ পার্সোনাল মো. মাসুদ পারভেজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বদলি আদেশ জারি করা হয়। তবে চট্টগ্রামের নর্থ পতেঙ্গা টিএসপিসিএল থেকে বদলি হয়ে আসা মোহাম্মদ মোবাশ্বির রায়হান তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। জানা গেছে, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাফার গুদাম কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার তৎকালীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিআইসি’র কোম্পানি উপ-বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. শামীম রানা অভিযোগ তদন্ত করেন এবং বিস্তর তদন্ত শেষে গত বছরের ১১ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাফার ইনচার্জ ফারুক হোসেন একজন অতীব কৌশলী মানুষ।
তিনি সেবা প্রদানের পরিবর্তে আর্থিক সুবিধা আদায়ের প্রচেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন সারাক্ষণ। অভিযুক্ত বাফার ইনচার্জ ফারুক হোসেনকে প্রত্যাহার করে সৎ এবং দক্ষ কর্মকর্তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাফার গুদামে পদায়ন করার সুপারিশ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শামীম রানা। পরে চলতি বছরের ১১ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাফার গুদাম ইনচার্জ (বাণিজ্যিক) মো. ফারুক হোসেনকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ এসএফসিএল-এ বদলি করা হয়। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি করে যাচ্ছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ইউনিটের সভাপতি মো. আকবর হোসেন বলেন, বাফার গুদাম ইনচার্জের বিরুদ্ধে বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে অভিযোগ তদন্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিসিআইসি’র কোম্পানি উপ-বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ শামীম রানা বাফার গুদাম ইনচার্জ ফারুক হোসেনের বিভিন্ন অপকর্মের প্রমাণ পান এবং তাকে বদলির জন্য সুপারিশ করেন। গত ১১ মে ফারুক হোসেনকে বদলির আদেশ হলেও দু’মাস ধরে ফারুক হোসেন স্বপদে বহাল রয়েছেন। এদিকে বদলির আদেশ হওয়ার পরও নতুন কর্মস্থলে যাওয়া প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাফার গুদাম ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন বলেন, এটা আমার ম্যানেজমেন্ট জানে। তাই আমার প্রতিষ্ঠান যদি যেতে বলে যাব, থাকতে বললে থাকব- কারণ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছে। তবে বদলির আদেশ হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে থাকতে বলেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
