বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

শত কোটির সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

শত কোটির সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

সেতুতে ওঠার জন্য দুই পাশে দেওয়া হয়েছে মই

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর সড়কে মনু নদের ওপর শত কোটি টাকা ব্যয়ে রাজাপুর সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে প্রায় এক বছর আগে। জমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার কারণে দুই পাশে সংযোগ সড়ক এখনো হয়নি। এ অবস্থায় উঁচু সেতুর দুই পাশে বাঁশের মই স্থাপন করে স্থানীয় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সওজ অধিদফতর ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় মনু নদের পাড়ে খেয়াঘাট ছিল। নদের বিপরীত পাশে হাজীপুর ও শরীফপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পড়েছে। এসব এলাকার মানুষ রাজাপুরের খেয়াঘাট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে পৃথিমপাশাসহ উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করতেন। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সওজ অধিদফতর সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৮ সালে ২৩২ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার টাইপের রাজাপুর সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতুটির নির্মাণ ও জমি অধিগ্রহণসহ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯.১৭ কোটি টাকা। ‘জন্মভূমি-ওয়াহিদুজ্জামান-নির্মিতি’ নামের সিলেটের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। ২০২১ সালের জুন মাসে নির্মাণকাজ শেষ হয়। পরে সেতুর দুই পাশে সাড়ে সাত কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।  ২০২০ সালে জমি অধিগ্রহণ শুরুর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের (২০২২ সাল) এপ্রিলের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। ভূমি অধিগ্রহণ শেষ না হওয়ায় নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী করা যায়নি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নবনির্মিত সেতুটি বেশ উঁচু। এটির পূর্ব পাশে প্রায় ৫০ ফুট এবং পশ্চিম পাশে ৩০ ফুট উঁচু বাঁশের মই লাগানো। মইয়ের দুই পাশে বাঁশ দিয়ে রেলিং দেওয়া হয়েছে। লোকজন মই বেয়ে সেতুতে ওঠানামা করছেন। কুলাউড়া সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন, জমি অধিগ্রহণের দীর্ঘসূত্রতায় সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। অধিগ্রহণের কাজ জেলা প্রশাসন থেকে করা হয়ে থাকে। জমি বুঝে পেলেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে। মৌলভীবাজার জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার বেলায়েত হোসেন বলেন, রাজাপুর সেতুর সংযোগ সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, সেতু বানানোর আগেই জমি অধিগ্রহণের নিয়ম রয়েছে। জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আমরা আগামী বুধবার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকেছি।

সর্বশেষ খবর