বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি, ওষুধের সংকট

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি, ওষুধের সংকট

কুড়িগ্রাম সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ঘরে ঘরে সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কোনো পরিবারে একজনের জ্বর হলে একে একে সবাই অসুস্থ হচ্ছেন। জ্বর থেকে সেরে উঠতে তিন দিন থেকে এক সপ্তাহ সময় লাগছে। যে বাড়িতে কেউ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানে আত্মীয়-স্বজনরা যেতে ভয় পাচ্ছেন। চিকিৎসকের কাছে গেলে কভিড সন্দেহে পরীক্ষা করার জন্য বললেও কেউ তা আমলে নিচ্ছেন না। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে রয়েছেন জেলার সচেতন মানুষ। প্রায় প্রতিটি ঘরে সর্দি-জ্বর থাকলেও ফার্মেসিগুলোতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। রোগীদের অভিযোগ, ব্যবসায়ী ও রিপ্রেজেন্টেটিভরা সিন্ডিকেট করে জ্বরের সিরাপ-ট্যাবলেটে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রিপ্রেজেন্টেটিভ জানান, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের দাম বাড়বে- এমন খবরে সাময়িকভাবে সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওষুধ সংকটে ক্ষোভ জানিয়েছেন জেলাবাসী। কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার জিয়া বাজারের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে, ছেলে ও স্ত্রী এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে আক্রান্ত। ডাক্তার দেখাতে পারলেও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী জ্বরের সিরাপ ও ট্যাবলেট পাচ্ছি না। দোকানদাররা বলেন, সাপ্লাই নাই। কিন্তু এ দাবি সত্য নয়। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার আশপাশে অনেক পরিবারের সদস্যদের জ্বর, শরীর ব্যথাসহ সর্দি-কাশি হয়েছে। তাদেরও একই অবস্থা। শহরের পৌরবাজারের নিউ টাউন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী অসীম কুমার বলেন, বাজারে ওষুধের সংকট দেখা দিলেও আগের কিছু ওষুধ বিক্রি করছি। শেষ হয়ে গেলে নতুন ওষুধ না আসা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারব না। কোম্পানিগুলো প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বলে তাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অজয় কুমার সরকার বলেন, প্রতিদিন করোনার লক্ষণ নিয়ে আমার কাছে রোগী আসছেন কিন্তু তারা কভিড টেস্ট করাচ্ছেন না। যারা টেস্ট করাচ্ছেন তাদের অনেকের পজিটিভ পাওয়াও যাচ্ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে জ্বর-সর্দি বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর