নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, রেমিট্যান্স আমাদের মূল হাতিয়ার। সৌদি আরবে হজে গিয়ে দেখলাম মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী কর্মীরা শরীর পুড়িয়ে নিজেকে কয়লা বানিয়ে আমাদের জন্য রেমিট্যান্স পাঠায়। সেই রেমিট্যান্সে আমরা গর্ব করি। কিন্তু আরাফার ময়দানে প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দেখা হলো কিছু প্রবাসী কর্মীর সঙ্গে। তারা আমাকে চিনে নিজের দুঃখের কথা জানিয়ে বলল মাত্র ৬৫ হাজার টাকা দেশ থেকে সৌদি আরব পাঠানোর জন্য দেখানো হয়েছে। অথচ তাদের কাছ থেকে রাখা হয়েছে ৩-৫ লাখ টাকা। যারা এ কাজটি করল তারা তো আমাদের দেশেরই মানুষ। আহ কি কষ্টই না দিয়েছে ওই লোকগুলোকে। এগুলোর বিচার রোজ কেয়ামতে দিতে হবে। গরিব মানুষের মাথায় বাড়ি দিয়ে টাকা নিচ্ছেন। একটা মানুষের কান্না যদি লেগে যায় সারা জীবনের নামাজ রোজা কিছু থাকবে না। গতকাল সন্ধ্যায় জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের পরিচিতি সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। পরে নেতাকর্মীদের দেশ সেবায় জনগণের পাশে থাকার অনুরোধ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি, আওয়ামী লীগ নেতা চন্দনশীলসহ জেলা ও সিটি আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে নেতাকর্মীদের জমজমের পানি, খেজুর, তসবি বিতরণ করা হয়।