শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

টাঙ্গাইলে চামড়ার দাম না পেয়ে ব্যবসায়ীরা হতাশ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে চামড়ার দাম না পেয়ে ব্যবসায়ীরা হতাশ

ঘাটাইলের পাকুটিয়ায় চামড়ার হাট -বাংলাদেশ প্রতিদিন

টাঙ্গাইলে কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে মৌসুমি ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। সুদে ও ঋণের টাকায় চামড়া কিনে অর্ধেক দামেও বিক্রি করতে না পেরে তাদের মাথায় হাত। ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ। ঘাটাইলের পাকুটিয়ার বৃহৎ চামড়ার হাটে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমি ও প্রান্তিক চামড়া ব্যবসায়ীরা যে দামে মফস্বল থেকে চামড়া কিনেছেন তার অর্ধেক দামেও বিক্রি করতে পারছেন না। এ হাটে গত বছর কয়েক লাখ চামড়া আমদানি হলেও এবার আমদানি হয়েছে ৫০ হাজারেরও কম। যে পরিমাণ চামড়া হাটে উঠেছে সেগুলোও কেনার মতো ক্রেতা হাটে আসেননি। চামড়ার বাজারে মন্দাভাবের জন্য খুচরা বিক্রেতারা দূষছেন পাইকারী ব্যবসায়ীদের। আবার পাইকারি ব্যবসায়ীরা দূষছেন ট্যানারি মালিকদের। তারা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার বাজারের খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। এতে খুচরা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। হাটে আসা ট্যানারি মালিক বা এজেন্টরা জানান, সরকার এ বছর চামড়া কেনার জন্য ব্যাংক লোন ছাড় করেনি। টাকার অভাবে তারা চামড়া কিনতে পারছেন না। তারা জানান, হাট থেকে চামড়া কিনে প্রতিটির জন্য আরও অতিরিক্ত ২০০ টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে ট্রান্সপোর্ট, লবণ, শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচও যুক্ত হবে। ফলে হাট থেকে কেনা চামড়ার দাম ঢাকায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি পড়বে। হাট ঘুরে দেখা যায়, বেছে বেছে মোটা ও প্রথম শ্রেণির গরুর চামড়া উল্টে-পাল্টে দেখছেন এবং মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দামদর করছেন। শেরপুর জেলার মৌসুমি ব্যবসায়ী সুরুজ্জামান জানান, বেশি লাভের আশায় এবার ৪০০ থেকে শুরু করে ৯০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া কিনেছি। হাটে এসে অর্ধেক দামেও চামড়া বিক্রি করতে পারছি না। ঋণ করে ঈদে চামড়া কিনেছি লাভের আশায়। এখন দেখি তাতে গুড়েবালি।

সর্বশেষ খবর