শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

নীলফামারীর আখ যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়

আবদুল বারী, নীলফামারী

নীলফামারীর আখ যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়

নীলফামারীর একটি আখ খেত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আখ রসালো ও মিষ্টি জাতের খাবার। চিবিয়ে কিংবা রস করে খাওয়ার জন্য আখের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। নীলফামারীর আখ খেতে খুবই সুস্বাদু হওয়ায় জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরবরাহ হচ্ছে অন্যান্য জেলায়ও। ফলে বাজারমূল্য ভালো পেয়ে খুশি আখচাষিরা। নীলফামারীতে এবার ১৬০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এখানকার মাটি আখ চাষের উপযোগী। স্থানীয়ভাবে পরিচিত জাতের কালো, সাদা, লাল, গেন্ডারি ও হাইব্রিড জাতের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন কৃষকরা। সদর উপজেলার লক্ষ্মিচাপ গ্রামের আখচাষি ভবানী চন্দ্র রায় বলেন, উঁচু এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকায় জমিতে আখের ভালো ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে উত্তোলন। বাজারে সরবরাহ ও পরিবহনের ঝামেলা ছাড়া মাঠেই পাইকারি ভালো দামে বিক্রি করে খুশি তিনি। কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর মাঝাপাড়া গ্রামের কৃষক অমেষ চন্দ্র বলেন, বাংলা আশ্বিন ও কার্তিক মাসে আখ জমিতে রোপণ করা হয়। বিক্রির উপযোগী হতে সময় লাগে ৮-১০ মাস। প্রতিবিঘা (৩০ শতাংশ) জমিতে আখের ফলন হয় ৬-৭ হাজার পিস। সব মিলে উৎপাদন খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। আকার ভেদে প্রতি পিস বিক্রি হয় ৯-১০ টাকায়। খরচ বাদে বিঘায় আয় হয় ৫৫-৬০ হাজার টাকা। স্থানীয় পাইকারসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা খেত থেকে আখ কিনে নিয়ে যান। সদর উপজেলার কৃষক নবীন ইসলাম জানান, আখ গাছের গোড়া ও কঁচিপাতা গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শুকনো পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। তবে এসব জাতের আখের রস দিয়ে গুড়, চিনি তৈরি করা হয় না। তাই বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির সুযোগ নেই। শুধু চিবিয়ে খাওয়ার চাহিদা থেকে এ আখ চাষ করা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার খেতে তেমন রোগবালাই দেখা দেয়নি। পলাশবাড়ি বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রতা লোকমান হোসেন বলেন, খেত থেকে ১০০ পিচ আখ কেনা ও পরিবহন খরচ বাবদ খরচ হয় ১৫০০ টাকা। বিক্রি হয় ৩ থেকে ৪ হাজার। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ জেলার মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী। এবার জেলায় ১৬০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। প্রতি বছরের মতো এ বছরও কৃষকরা লাভবান হবেন।

সর্বশেষ খবর