রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সড়কে আতঙ্ক মোটরসাইকেল

বগুড়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চার মাসে ৪০ জন নিহত

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় সড়ক-মহাসড়কে আতঙ্কের নাম মোটরসাইকেল। বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক, আধুনিক মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ ভালো না জানা, হেলমেটসহ অন্যান্য নিরাপদ সামগ্রী ব্যবহার না করায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন চালকরা। নিহতের তালিকায় কিশোর ও তরুণের সংখ্যাই বেশি। জেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গত চার মাসে কমপক্ষে ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জানা যায়, শহরে মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য শতাধিক শো-রুম রয়েছে। সামর্থ্যবানরা সন্তানদের দাবি পূরণ করতে গিয়ে আধুনিক মোটরসাইকেল কিনে দিচ্ছেন। অনেক পরিবারের আদরের সন্তান মোটরসাইকেল নিতে বায়না ধরে।  তরুণরা আধুনিক এই মোটরসাইকেল চালাতে দক্ষ না হওয়ায় সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না। দক্ষতার সঙ্গে সাবধানতা না থাকায় জেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। মোটরসাইকেল কিনলেও বেশির ভাগ চালকদের থাকছে না হেলমেটসহ নিরাপত্তা সামগ্রী। যে কারণে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন বাইকাররা। মহাসড়কে বাইক চালাতে গিয়ে গতিও ঠিক রাখছেন না। অতিমাত্রার গতি, বাইক নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা কম থাকায় দুর্ঘটনার হার বেড়ে চলেছে। বগুড়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা যেন  সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। নতুন বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে বেপরোয়া মোটরসাইকেল। শহরের ব্যস্ততম সড়কে অলিতে-গলিতে, গ্রামের বড় রাস্তায়, মহাসড়কে প্রতিদিনই দেখা যায়, মোটরবাইকে উদ্দাম গতিতে চলেছে কিশোর-তরুণ-যুবকরা। সাপের মতো এঁকে বেঁকে তড়িৎ গতিতে ছুটে চলে অসংখ্য মোটরসাইকেল। এদের বেশির ভাগই ১৮ বছরের নিচে কম বয়সী স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী। শহরে অনুমোদিত তিনটি বার রয়েছে। তিনটি বারই হাইওয়ে মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। বারের পাশাপাশি আরও কয়েকটি অনুমোদিত মদ বিক্রির দোকান রয়েছে। কোনো কোনো তরুণ শখের বসে মোটরসাইকেল নিয়ে বারে যাচ্ছেন। আর বার থেকে মদপান করে মোটরসাইকেল চালাতেই ঘটাচ্ছেন দুর্ঘটনা। সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য প্রাণ। বগুড়া বিআরটিএর সহকারী পরিচালক এ টি এম ময়নুল হাসান জানান, জেলায় প্রায় দেড় লাখ মোটরসাইকেলের লাইসেন্স করা আছে। আরও প্রায় ৩ লাখ মোটরসাইকেল লাইসেন্স ছাড়া চলছে। এদের মধ্যে অদক্ষ চালকও রয়েছেন। লাইসেন্স করা মোটরসাইকেল চালকরা বগুড়া শহর ও মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুুনশী শাহাবুদ্দিন জানান, বগুড়া সড়ক মহাসড়কে যেন দুর্ঘটনা না হয় সে বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সড়কে সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, বগুড়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার প্রবণতা বেশি। মোটরসাইকেল চালকদের পাশাপাশি সব মোটরযানের চালকদের সাবধানে গাড়ি চালানোর জন্য সচেতন করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর