রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

৫২ শ্রমিকের করোনা শনাক্ত বন্ধ কয়লা উত্তোলন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

৫২ শ্রমিকের করোনা শনাক্ত বন্ধ কয়লা উত্তোলন

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্মরত চীনা ও বাংলাদেশি ৫২ শ্রমিকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ডে অ্যাডজাস্টমেন্ট সংক্রান্ত কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার। তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় গতকাল সকাল থেকে পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ জুলাই সকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। যা আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা করোনা আক্রান্ত চীনা শ্রমিকদের সংস্পর্শে গেছেন, তারা এখন খনির বাইরে আইসলোসনে আছেন। করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের খনির বাইরে রাখা হয়েছে। তারা করোনামুক্ত হলে খনিতে প্রবেশ করানো হবে। যারা আক্রান্ত নন, তাদের দিয়ে কয়লা উত্তোলনের কূপের উন্নয়ন কাজ করানো হচ্ছে। গত ২৭ জুলাই বড়পুকুরিয়া খনির নতুন কূপে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ। খনিতে ৩০০ জন চীনা ও ৪০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে ২৬ জুলাই দেশি ১৪৩ জন শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের করোনা পজিটিভ আসে। ২৮ জুলাই ২৯৩ জন চীনা ও ১৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৩৪ জন চীনা ও ২ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। খনি সূত্র জানায়, কয়লা খনির পরিত্যক্ত ফেজ থেকে নতুন ফেজের যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজের জন্য গত ১ মে ১৩১০ নম্বর ফেজ (ক’প) থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। দুই মাস ২৭ দিন পর গত বুধবার নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেজে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় কয়লা উত্তোলন। এদিন সকালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এ কয়লা উত্তোলন উদ্বোধন করেন।

তখন বলা হয়েছিল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যন্ত্রাংশ অ্যাডজাস্টমেন্টসহ সব প্রক্রিয়া শেষে পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে। পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হলে প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টন কয়লা উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর