মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

গাজীপুরে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মতৎপরতা জামায়াতের ১৭ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে জামায়াতের ১৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি এবং গ্যাস-বিদ্যুতের বিপর্যয়ের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদ সম্মেলনে উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) মো. জাকির হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাজীপুর মহানগর শাখার সেক্রেটারি আফজাল হোসাইন, গাছা থানা শাখার আমির মো. আবদুল মোতালিব, টঙ্গী পূর্ব থানা শাখার আইনবিষয়ক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. শামিম আল মামুনসহ ১৭ জন।

আরও অনেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি জালাল উদ্দিন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মো. আবু সুফিয়ান, ওয়ার্ড শাখার সভাপতি সানাউল্লাহ, মহানগর শাখার রোকন মো. রহমত উল্লাহ, সক্রিয় কর্মী আশরাফুল আলম রাজু, আবদুস সালাম, জাকারিয়া খান, আতিকুর রহমান মুকুল, নাজমুল হক, ইমরান, মো. আবদুল্লাহ, তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার বিজ্ঞানের শিক্ষক আশরাফুল আলম ও একই বিষয়ের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। জিএমপির ওই কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ও পরদিন রবিবার গাছা থানার ভুসির মিল সাইন বোর্ড এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর কয়েক শ উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী হঠাৎ জড়ো হয়ে ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এবং যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি এবং গ্যাস-বিদ্যুতের বিপর্যয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তারা কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশ ভুসির মিল এলাকা থেকে আটজন উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীকে হাতেনাতে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গাছা থানায় দ্রুত বিচার আইনে এবং বাসন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার গ্রেফতারকৃত ১৭ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা বর্তমান স্থিতিশীল রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত করছিল বলে তথ্য রয়েছে। এ অভিযানের মধ্য দিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের সে পরিকল্পনাকে রুখে দিয়েছে। জিএমপির এ ধরনের অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ কমিশনার রিপন চন্দ্র সরকার ও সহকারী কমিশনার (গোয়েন্দা) আবু সায়েম নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর