বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ভাঙনে বদলে যাচ্ছে খাগড়াছড়ির মানচিত্র

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

ভাঙনে বদলে যাচ্ছে খাগড়াছড়ির মানচিত্র

খরস্রোতা চেংগী নদীর ভাঙনে খাগড়াছড়ির পানছড়ির বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, পুরাতন রাস্তাঘাট ও বাপদাদার ভিটেবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে খাগড়াছড়ি সদর ও পানছড়ি উপজেলা দুটির  বর্তমান মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে চেংগী নদীর কবলে পড়ে সদরের উত্তর-খবংপুড়িয়া, রাবার ফ্যাক্টরি, শব্দমিয়া পাড়া, মুসলিম পাড়া, গঞ্জপাড়া গোলাবাড়ী হেডম্যানপাড়া ও কমলছড়িসহ বহু গ্রামের বাড়িঘর, ফসলি জমি, বসতভিটা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কমলছড়ি ইউনিয়নের পুরাতন সড়কটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। এসব নদীপাড়ের বসবাসরত পরিবারগুলো প্রতিনিয়ত ভাঙনের শিকার হয়ে আশ্রয়হীন হচ্ছে। বিশেষ করে ভরা বর্ষা মৌসুমে ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হলেই ফুলে ফেঁপে ওঠে চেংগী নদীর পানি। এ সময় পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়। দফায় দফায় ডুবে যায় খাগড়াছড়ি পৌর শহরের নিম্নাঞ্চল। এতে শত শত পরিবার বন্যার পানিতে চরম দুর্ভোগে পড়ে। বর্ষাকাল এলেই এসব এলাকার লোকজন আতঙ্কে দিন কাটায়। তার সঙ্গে নদীভাঙনও তীব্র আকার ধারণ করে। একইভাবে পানছড়ি বাজার এলাকা, লৌগাং, রাবার ড্র্যাম এলাকাসহ নদী-তীরবর্তী বহু গ্রামে বসবাসরত পরিবার চেংগীর ভাঙনের কবলে পড়ছে। এ ছাড়া চেংগী নদীর ভাঙনে পানছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খাগড়াছড়ি সদরের পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের স্থাপিত রাবার কারখানাটিও চেংগী নদীর ভাঙনে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, সম্প্রতি তিন পার্বত্য জেলার জন্য একনেকে নদীভাঙন রোধের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাস করা হয়; যা ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো মাঝে আশা জগিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন স্থানে পাথর বসালেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে এলাকাবাসী জানান। ভাঙনের শিকার এলাকাবাসী অচিরেই ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সর্বশেষ খবর