শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

মাদারীপুরে কৃষি খাতে সুদিন

মাদারীপুর প্রতিনিধি

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সোনালি দিনের স্বপ্ন বুনছেন মাদারীপুরের কৃষকরা। তাদের এসেছে সুদিন। ফেরি ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে নষ্ট হতো কৃষকের উৎপাদিত ফসল। মারা যেত গবাদি পশু। নষ্ট হওয়া কিংবা মরে যাওয়ার আশঙ্কা এখন আর নেই। তাই নতুন করে স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। উন্নত যোগাযোগ আর বিপণন ব্যবস্থা সহজলভ্য হওয়ায় কৃষকরা অধিক উৎপাদন শুরু করেছে। মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের কৃষক হাবুল মাদবর। এক সময় শাক সবজি উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতো। তিনি এই বছর অতিরিক্ত ৩ একর জমি লিজ নিয়েছে।  ঢেড়স ও পুই শাক বপন করেছেন। তার উৎপাদিত সবজি ঢাকার বাজারে বিক্রি করবেন। তিনি বলেন, আগে উৎপাদিত ফসল ঢাকার বাজারে নেওয়ার পথেই নষ্ট হয়ে যেত। ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। এখন আর অপেক্ষা করা লাগবে না। এদিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর গ্রামের কৃষক শফিকুল আলম। লেখাপড়া শেষ করে শুরু করেছিলেন গবাদি পশুর খামার ও মাছ চাষ। স্থানীয় বাজারেই এসব বিক্রি করতেন। আগামীতে তিনি ঢাকার বাজার চিন্তা করে দ্বিগুণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন। মাছ ও পশুর দাম তুলনামূলক স্থানীয় বাজারে কম। চাহিদাও নেই। তবে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মাছ ও গরুর চাহিদা রয়েছে। এ কারণেই তিনি নতুন করে একটি পুকুর খননের পরিকল্পনা করেছেন। গরুর খামারও সম্প্রসারণ করবেন বলে ভাবছেন। তিনি জানান, রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরের  জেলা হলেও এতদিন ফেরিঘাটের ভোগান্তির কারণে উদ্বৃত্ত এসব মাছ, মাংস ও দুধ ঢাকায় বিক্রি করা যায়নি। তুলনামূলক কম দামে এসব দুধ ও মাংস স্থানীয় বাজার ও আশপাশের জেলায় বিক্রি করতে হয়েছে। এখন সেতু চালু মাত্র ৩ ঘণ্টায় ঢাকায়  পৌঁছাবে দুধ ও মাংস। গরুর খামারি শেরকান মুন্সী বলেন, ‘গত বছর কোরবানির সময় একটি বড় ষাঁড় গরুর ঢাকা নেওয়ার পথে ফেরিঘাটে ট্রাকে মারা  গেছে।

সর্বশেষ খবর