রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

জোড়াতালির চার বেইলি সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জোড়াতালির চার বেইলি সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

জয়পুরহাট-ক্ষেতলাল-পাকারমাথা সড়কে জরাজীর্ণ বেইলি সেতু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জয়পুরহাট-ক্ষেতলাল-পাকারমাথা এবং কালাই-শালাইপুর-হিলি মহাসড়কের চারটি বেইলি সেতু জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সরু ও জোড়াতালির এসব সেতু দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন। জয়পুরহাট-ক্ষেতলাল-পাকারমাথা মহাসড়কের তিনটি বেইলি সেতুর অবস্থা খুবই নাজুক। সেতুগুলো পুরাতন হওয়ায় পাটাতনের লোহার পাতগুলোতে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। ফাঁকগুলো মেরামত করা হলেও অবকাঠামো পুরাতন হওয়ায় ভারী যানবাহন ওঠামাত্র কটমট শব্দে দুলতে থাকে পুরো সেতু। মনে হয় এই বুঝি ভেঙে পড়বে। এ অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গরু বোঝায় ভটভটি ও মাল বোঝাই শত শত ট্রাকসহ যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করছে ওই সড়কে। জয়পুরহাট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নব্বই দশকে জয়পুরহাট-ক্ষেতলাল-পাকারমাথা জেলা মহাসড়কের তুলশীগঙ্গা নদীর ওপর ৬৮ মিটার, খাড়াই খালের ওপর ২০ মিটার এবং ঘোনাপাড়া খালের ওপর ৩৬ মিটার দীর্ঘ তিনটি বেইলি সেতু নির্মিত হয়। সড়কটি জয়পুরহাট শহরের সঙ্গে যোগাযোগের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় শুরুতে এর গুরুত্ব কম ছিল। বর্তমানে শহরে যানজট বেড়ে যাওয়ায় এই পথের গুরুত্ব বেড়েছে। প্রতিদিন জয়পুরহাট-ক্ষেতলাল-পাকারমাথা মহাসড়ক হয়ে বিকল্প এই পথে জেলা শহরে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এলাকার মানুষ। এ ছাড়া আক্কেলপুর হয়ে নওগাঁ শহরে মালামালসহ ট্রাক যাতায়াত করে এই মহাসড়ক হয়ে। কালাই-শালাইপুর-হিলি সড়কের ৪৪ মিটার দীর্ঘ সরু বেইলি সেতুর অবস্থাও একই রকম। ঝুঁকি নিয়ে এ পথেও চলাচল করছে শত শত ভারী ও হালকা যানবাহন। জরাজীর্ণ বেইলি সেতু দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী ক্ষেতলালের ট্রাকচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুর যা অবস্থা তাতে খালি ট্রাক নিয়ে যেতেও ভয় হয়। ট্রাক উঠলেই সেতু দুলতে থাকে’। স্থানীয় ঘোনাপাড়া গ্রামের আবদুল মতিন বলেন, তুলশীগঙ্গা নদীর ওপর এই সেতু নির্মাণ করা হয় ১৯৯০ সালে। সেতুটি পুরাতন হওয়ায় ১০ টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে উভয় পাশে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে সওজ বিভাগ। কিন্তু কেউ তা মানছেন না। প্রতিদিন ২০-২৫ টনের ট্রাক চলাচল করে এ পথে। ক্ষেতলাল বটতলী বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন এ পথে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের ট্রাকই বেশি যাতায়াত করে। কখন যে সেতু ভেঙে পড়ে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়’। জয়পুরহাট সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ওইসব সেতুর স্থলে নতুন পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।

 

সর্বশেষ খবর