রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

পানি সংকটে পাট জাগ দিতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

পানি সংকটে পাট জাগ দিতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক

জেলার ছয় উপজেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। তার পরও সোনালি আঁশ ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তিত সাধারণ কৃষক। বৃষ্টি না হওয়া আর সেচ খালে পানি সরবরাহ না করায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপাকে তারা। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ বলছে, জি কে সেচ খালে পানি সরবরাহ যেন দ্রুত দেওয়া হয় সে ব্যাপারে কথা হয়েছে। জেলার সদর, হরিণাকু ু ও শৈলকুপা উপজেলার মাঠের পর মাঠ শুধু সোনালি আঁশ আর পাটের সবুজ পাতার সমারোহ। পাটের পরিচর্যা আর মাঠ থেকে পাট কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। এ বছর ফলন ভালো হলেও পাট পচানো নিয়ে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। একই অবস্থা অন্যান্য উপজেলায়ও। আষাঢ়ে তো আশানুরূপ বৃষ্টি হয়ইনি, শ্রাবণ শেষ হতে চললেও দেখা নেই বৃষ্টির। প্রখর রোদে শুকিয়ে গেছে খাল, পুকুর, জলাশয়। অন্যান্য বছরের এই সময় জি কে সেচ খালে পানি সরবরাহ করা হলেও এবার এখনো পানি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাই উৎপাদিত পাট কেটে পচানো নিয়ে বিপাকে কৃষক। অনেকেই বাড়তি টাকা খরচ করে পুকুর ভাড়া বা শুষ্ক পুকুরে পানি দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে জি কে সেচ খালে পানি সরবরাহ ও পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি তাদের। হাটগোপালপুরের কৃষক মশিয়ার রহমান বলেন, ‘শ্রাবণ মাস শেষ হতে চললেও বৃষ্টির দেখা নেই। এ ছাড়া জি কে সেচ খালেও পানি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে পাট পচন নিয়ে চরম বিপদে আছি আমরা।’

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আজগর আলী বলেন, ‘পাটের পচন প্রক্রিয়ার সমস্যা সমাধানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে আমার। তাঁরা জানিয়েছেন অতিদ্রুত জি কে সেচ খালে পানি সরবরাহ করবেন।’ ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর ছয় উপজেলায় ২৩ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৫০ হেক্টর বেশি।

সর্বশেষ খবর