সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ইলিশ বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম ফিশারিজ ঘাট

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ইলিশ বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম ফিশারিজ ঘাট

জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। নৌকাবোঝাই মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন বঙ্গোপসাগরের জেলেরা। পাখির কলরবে যখন ঘুম ভাঙে সেই কাকডাকা ভোর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হতে থাকে পটুয়াখালীর উপকূলীয় ফিশারিজ ঘাটগুলো। শুধু ইলিশই নয়, ঘাটগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে সাগর থেকে আসা দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ৬৫ দিনের অবরোধ জেলেরা সঠিকভাবে পালন করায় সাগরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। পটুয়াখালীর ফিশারিজ ঘাটগুলোতে ফিসিং বোড থেকে এভাবেই নামছে ঝুড়িভর্তি ইলিশ। সাজানোর পর বিক্রির জন্য চলছে নিলামের হাঁকডাক। জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের ইলিশ। তবে বাজারে ইলিশের দাম এখনো সেভাবে কমেনি। এক কেজি ওজনের ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। তবে সাগরে শুধু ইলিশই নয়, জেলেদের জালে ধরা পড়ছে কোড়াল, পোমা, লট্টা, ডা াসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর এসব দেশীয় প্রজাতির মাছের দাম কিছুটা কমে এখন ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। বাজারে মাছের দাম ভালো থাকায় হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। জেলেরা বলছেন, পার্শ্ববর্তী নদীগুলোতে মাছের তেমন দেখা মিলছে না। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ বেড়েছে। এভাবে মাছ পড়লে এবং দাম ভালো থাকলে লোকশান কাটিয়ে উঠতে পাড়বেন জেলেরা। সাগর থেকে ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে ফিশারিজ ঘাটে এসে মাছ বিক্রি করে আবার সাগরে ফিরে যাচ্ছেন জেলেরা। জেলে আবুল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন আমরা ঘাটে বসে ঋণ করে খেয়েছি। এখন যেভাবে মাছ পড়ছে এবং বাজারদর যেভাবে আছে তাতে আমরা আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব। কোড়ালিয়া মৎস্যবন্দর মালিক সমিতির সভাপতি বসির প্যাদা বলেন, সাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন মৎস্যবন্দর মালিক সমিতির এই নেতা। শেকৃবির ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের বিভাগীয় চেয়ারম্যান, গবেষক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ জেলেরা সঠিকভাবে পালন করায় সাগরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে এবং মাছের সাইজও বড় হয়েছে।

সর্বশেষ খবর