শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বাম্পার ফলনেও বাড়ছে চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বাম্পার ফলনেও বাড়ছে চালের দাম

উত্তরাঞ্চলের মধ্যে বগুড়ায় ধান উৎপাদনে কৃষকরা বাম্পার ফসল ফলান। জ্বালানি তেল, সারের দাম ও পরিবহন খরচ বাড়ায় দফায় দফায় এ জেলায় বাড়ছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে নাজিরশাইল গত সপ্তাহে ৬২ থেকে ৬৪ টাকা থাকলেও গতকাল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট ৬৮ থেকে ৭২ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা। বি আর আটাশ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। কাটারিভোগ চালের দাম ৬৮  থেকে ৭০ টাকা থাকলেও এখন ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রণজিৎ চাল পাইকারি বাজারে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা। আগে ছিল ৪৭ টাকা। এছাড়া ২৯ জাতের ধানের চাল গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৫২ টাকা দাম থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায়। পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে এসব চাল  প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকা  বেশি দরে। জেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর বগুড়ায় আমন ধান উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২০ হেক্টর। যা চাল হিসেবে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮১৩ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে। এ বছর টার্গেট করা হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর। যা চাল হিসেবে পাওয়া যাবে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এ জেলায় এত ধান ও চালের উৎপাদন হলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে দফায় দফায় চালের দাম বেড়েই চলছে। এদিকে ধান ও চালের দাম বাড়লেও নায্য মূল্য পাচ্ছে না কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, এই জেলায় ধান ও চালের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। গতকাল শহরের রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার ও  গোদারপাড়ার পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ী এবং  ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। রাজা বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী জাহিদ চাউল ঘরের মালিক জাহিদুল ইসলাম জানান গত সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৩  থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। মিল মালিকদের কাছে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যে কারণে বিক্রিও করতে হচ্ছে  বেশি দামে। এখানে কোনো কারসাজির সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, বগুড়ায় অতি বৃষ্টি ও অসময়ে বন্যার কারণে ধানের অনেক খেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে একটু প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। এছাড়াও জ¦লানি তেল, সার ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বাড়ছে। সেজন্যই আমাদের বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। গোদারপাড়ার চাল ব্যবসায়ী সুলতান মন্ডল জানান গত ৫ দিন ধরে চালের দাম  বেড়েছে। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চালের বাজারে এমন অস্থিরতা। এমন পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে চালের দাম আরও বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পাইকারিতে যে চাল বিক্রি করছি সেটি খুচরা ব্যবসায়ীরা আরও ৩ থেকে ৫ টাকা  বেশি দামে বিক্রি করছে। বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক  মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামান জানান সার ও তেলের দাম বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ানোর সুযোগ নিচ্ছে। আমরা গোপনে নজর রাখছি। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর