শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

হুমকির মুখে সংযোগ সড়ক

সামান্য বৃষ্টিতে সেতু এলাকা হুমকিতে পড়ে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

হুমকির মুখে সংযোগ সড়ক

সামন্য বৃষ্টিতেই ধনবাড়ীর বংশাই নদীর ব্রিজের সংযোগ সড়কের মাটি ধসে ও ধুয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্মাণ হয় সেতু। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বর্ষার প্রবল স্রোতে সেতুটি সড়কবিহীন হয়ে যায়। পাঁচ বছর কাঠের মই বেয়ে পারাপার ও চলাচল করেছেন তারা। দুর্ভোগ এড়াতে সেতুর দুই পাড়ে আবারও নির্মাণ করা হয়েছে সংযোগ রাস্তা। জনমনে স্বস্তি ফিরলেও এজিং ছাড়াই রাস্তা নির্মাণ করায় তাদের মনে রয়েছে শঙ্কাও। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি আবার হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। এ দুর্ভোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। এ সেতুটি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ও যদুনাথপুর ইউনিয়নের বংশাই নদীর ওপর। সেতুর এক পাশে ধোপাখালী অন্য পাশে যদুনাথপুরের ইসলামপুর গ্রাম। মাটি থেকে প্রায় ৯-১০ ফুট উচ্চতায়। উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ ব্রিজের সংযোগ রাস্তা করতে এডিপির বরাদ্দ ছিল ৪ লাখ টাকা। স্থানীয় এস কে এন্টারপ্রাইজ কাজটি করেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর দুই পাশে সম্প্রতি করা হয়েছে সংযোগ সড়ক। পারাপার হচ্ছে যদুনাথপুর ও ধোপাখালী ইউনিয়নের ৮-১০ গ্রামের বাসিন্দা। ইউনিয়ন দুটি কৃষিপ্রধান। পাশের জমি থেকে খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে উঁচু করে তৈরি হয়েছে রাস্তা। দুই পাশে এজিং না থাকায় নতুন মাটি রক্ষার্থে লাগানো হয়েছে ঘাস ও গাছ। এদিকে গত কয়েক দিনে বৃষ্টির পানির সঙ্গে মাটি ধসে নদীতে ধুয়ে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে ছোট-বড় গর্ত। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে অটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ইসলামপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি নির্মাণের বছরই বর্ষার প্রবল স্রোতে সংযোগ রাস্তা বিলীন হয়ে যায়। দুর্ভোগ নামে এলাকাবাসীর ওপর। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে আসেন। ১৪-১৫ দিন আগে আবারও সংযোগ সড়কটি করা হয়েছে। কিন্তু সড়কের দুই পাশে এবারও এজিং নেই। এখনই বৃষ্টিতে মাটি নদীতে চলে যাচ্ছে।’ অন্য বাসিন্দা মহর আলী বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ হলেও মাটি রক্ষার্থে কোনো এজিং করা হয়নি। দাবি ছিল এটি যেন খুবই মজবুত করে করা হয়। মাটি সরে গেলে আগের সেই দুর্ভোগ ফিরে আসবে। মাটি কাটার সময় আরও ২ ফুট উঁচু করে দিতে বললেও তারা দেননি।’ কলেজ শিক্ষার্থী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি। তবে বৃষ্টি হলেই চিন্তা হয়। যদি ভালো করে করা হতো আরও খুশি হতাম।’ ধোপাখালী গ্রামের আফসার আলী বলেন, ‘এ রাস্তায় এলাকাবাসীর আনন্দ ফিরেছে। আমাদের দাবি ছিল এটি ইটের গাঁথুনি (এজিং) দিয়ে করার। যদি করত তাহলে টিকত। এখনো যদি গাঁথা যায় এলাকাবাসী সুফল পাবে।’ ধোপাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বলেন, ‘এলাকাবাসীর দাবিতে সড়কটি করা হয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টি ও বর্ষা এলে ধসে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। এখানে বড় সেতু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’ ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সেতুটি পরিদর্শন করে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। এডিপির বরাদ্দ পেয়ে সংযোগ রাস্তা করা হয়েছে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর