শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ভরসা বাঁশের সাঁকো

নদী তীরের মানুষের দাবি পাকা সেতু

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ভরসা বাঁশের সাঁকো

অপেক্ষায় কেটেছে দীর্ঘ ৫১ বছর। কেউ কথা রাখেনি। ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে সেতু হয়নি। সেতু না হওয়ার কষ্টে রয়েছেন সেখানকার আট গ্রামের সাধারণ মানুষ। দুর্ভোগ সয়ে এলাকাবাসী বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে এই নদী পারাপার হচ্ছেন। সেতু না হওয়ার কারণে এলাকার রাস্তাসহ অন্য কোনো উন্নয়নও তেমন হয়নি। এভাবেই অপেক্ষা করছেন লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ভ্যাড়ভেড়ী চরের বাসিন্দারা। ধরলা নদীর তীরের কয়েক হাজার মানুষের দাবি ভ্যাড়ভেড়ী চর এলাকায় ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে একটি পাকা সেতু নির্মাণ। সরজমিনে দেখা যায়, ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে খেয়া নৌকার পরিবর্তে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। উঁচু-নিচু হওয়ায় বয়স্ক মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। নিরুপায় হয়ে মানুষ ঝুঁঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন এই ওয়াপদা বাঁধের খাল। ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে উত্তর পার্শ্বে বড়বাসুরিয়া, চর মেকলি, চর বুদারু গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে সেতু না থাকায় তাদের গ্রামে পাকা সড়ক হয়নি। ক্যানেলটি খরস্রোতা হওয়ায় খেয়া নৌকায় পারাপার হতে সময় লাগে অন্তত ১০ মিনিট। ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত, ফসল পরিবহনসহ উপজেলা সদরে যেতে হয় ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেল পার হয়ে। ভরা বর্ষায় খেয়া নৌকা এবং শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকোয় পার হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ জন্য সদর উপজেলার আট গ্রামের বাসিন্দাদের ভরসা বাঁশের সাঁকো। ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে অধ্যুষিত এলাকাটি কৃষি প্রধান। ভ্যাড়ভেড়ী চর সংলগ্ন ঘাট/সাঁকো হয়েই ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে উত্তর পাশের বড়বাসুরিয়া, চর মেকলি, চর বুদারু গ্রামের মানুষ, তাদের খেতের ফসল পারাপার এবং জেলা-উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে থাকেন। এ ছাড়া দক্ষিণ পাশের কাইম বাঁসুরিয়া, একতার বাজার গ্রামের মানুষ ওই গ্রামগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ এবং নদীর চরের ফসল নিয়ে আসে। সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভ্যাড়ভেড়ী চরের সাধারণ মানুষের আভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকা ও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করি। এখানে একটি সেতু হলে আমাদের কষ্ট অনেক লাঘব হবে এবং মানুষ উন্নত জীবনযাপন করতে পারবেন। গেল ২০২১-২২ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি (টি আর)-এর আওতায় তৃতীয় কিস্তির বরাদ্দকৃত ৮৭ হাজার ২০০ টাকা দ্বারা বড়বাড়ী ইউনিয়ন এর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাসুরিয়া মৌজায় ওয়াপদা বাঁধ সংলগ্ন খালের ওপর ড্রাম ও বাঁশের সাঁকো নির্মাণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেন চেয়ারম্যান হবিবর রহমান হবি। সম্প্রতি তিনি মারা যাওয়ায় আবারও কাজটি থমকে গেল বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লালমনিরহাট সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য  প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে । সেটির অনুমোদন হলে সেতুটি নির্মাণ করা হবে বলে জানান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর