নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নারায়ণপুর থেকে পাঁচলাড়ুয়া গ্রাম পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী ১০ গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সিংড়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি বর্ষাকালে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হন নারায়ণপুরসহ ১০ গ্রামের লোকজন। এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্ষা মৌসুমে গ্রামীণ এই কাঁচা সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কাদা রাস্তায় দুর্ভোগে পড়তে হয় মানুষকে। নারায়ণপুরের এ কাঁচা সড়ক রৌধী, চামারী, ধুলিয়া ডাঙ্গা, পাছলাড়ুয়া, আগলাড়ুয়া, নতুনবস্তি, সাঐলসহ ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত এবং কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করেন। নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা হিমেল শেখ বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তা কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলতে পারে না। হেঁটে চলা কঠিন হয়ে পড়ে। পাঁচলাড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমান বলেন, ৪৫ বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা। কেউ কথা রাখেননি। তবু প্রয়োজনের তাগিদে দুর্ভোগ সঙ্গী করেই এ রাস্তায় যাতায়াত করছেন গ্রামবাসী। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি চলাচলের একবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কলেজশিক্ষার্থী পরী বানু জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। গ্রাম থেকে এক কিমি পরই পাকা রাস্তা। সামান্য এটুকু কাজ না করায় যাতায়াত করতে জনসাধারণকে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় হাতিয়ান্দাহ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান চঞ্চল বলেন, এখানকার কয়েক গ্রামের বাসিন্দা পাকা সড়কের অভাবে দুর্ভোগে আছেন। সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের মধ্যে অবশ্যই সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।