সীমান্ত জেলা শেরপুর। এখানকার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে (স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স)। নানা কারণে প্রায় এক বছর ধরে প্রসূতি মায়েদের সিজার অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব বন্ধ ছিল। সম্প্রতি এ সেবা আবার চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল প্রশাসন। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন প্রসবকালীন সামান্য সমস্যা নিয়ে আসতে হয় জেলা শহরে। ভাগ্য ভালো থাকলে জেলা হাসপাতালে এই সেবা জোটে। না হলে সেবা নিতে হয় বেসরকারি কোনো ক্লিনিকে। এই সেবাটি এখন থেকে স্থানীয় হাসপাতালে পেলে মানুষের ভোগান্তিও কমবে আবার টাকাও বাঁচবে। প্রসবকালীন মাতৃত্ব সেবা এখন থেকে স্থানীয় হাসপাতালে পাওয়া যাবে এই ঘোষণায় স্থানীয়রা স্বস্তি পেয়েছেন। গতকাল দুপুর থেকে উপজেলার নকশী গ্রামের মো. রুহুল আমিনের স্ত্রীর সিজারের মাধ্যমে এই সেবার শুভ সূচনা করা হয়েছে। ওই হাসপাতালের একদল ডাক্তার ওই মায়ের সফল সিজার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচপিও) ডা. রাজিব সাহা বলেছেন, লোকবল ও অপারেশন থিয়েটার নষ্ট থাকার কারণে এত দিন এই কার্যক্রম ছিল না। অপারেশনের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো মেরামত করে আজকে প্রথমবারের মতো সিজার অপারেশন শুরু করা হলো। লোকবল সংকটও অনেকটা কেটেছে। এখন থেকে ২৪ ঘণ্টা মায়েদের মাতৃত্বকালীন সেবা দেওয়া হবে। চেষ্টা করা স্বাভাবিক প্রসবের। বিশেষ প্রয়োজন পড়লে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালেই সিজার করা হবে। তবে ইমারজেন্সি সিজার করার ক্ষেত্রে সুযোগ কম থাকবে।