মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

আবার দেবে গেল মহাসড়ক ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

আবার দেবে গেল মহাসড়ক ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকার কিছু অংশ আবার দেবে গেছে। দেবে যাওয়া স্থানে ২০০-৩০০ মিটার লম্বা সরু খালের মতো আকৃতি হয়েছে। কয়েকটি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্তের। বৃষ্টি হলেই জমে পানি। যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। ভুুক্তভোগী ও স্থানীয়রা বলছেন, বছর পার না হতেই আবারও দেবে গেছে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক। কয়েক দিন ধরে এমন অবস্থা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। স্থানীয়রা বলছেন, বারবার কেন প্রায় একই স্থানে মহাসড়কটি দেবে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা উচিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সরেজমিন গতকাল গিয়ে দেখা যায়, গোলচত্বর সংলগ্ন পশ্চিম-উত্তর পাশের সড়কের দেবে যাওয়া স্থানে বৃষ্টির পানি জমে আছে। যানবাহন চলাচলের সময় একদিকে কাত হয়ে যায়। যানবাহন উল্টে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার ও মাইক্রো, ব্যাটারিচালিত অটো, সিএনজি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল চলাচল করে। এই মোড় এলাকায় গত এক বছরে দুবার সড়ক দেবে সরু খাল ও গর্তের মতো সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। জানা যায়, মহাসড়কটি নির্মাণের কয়েক মাস পরই গোলচত্বর এলাকায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। সংস্কারের পর ২০২১ সালের জুন মাসে একই স্থান দেবে যায়। বছর পার হতে না হতেই আবার একই স্থানে সরু খাল ও গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাকচালক আকমল উদ্দিন জানান, এই মহাসড়ক দিয়ে দু-এক দিন পরপর তাকে ঢাকায় যেতে হয়। কয়েক দিন হলো সড়ক দেবে খালের মতো আকার ধারণ করেছে। মালামাল নিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় তীব্র ঝাঁকুনি হয়। চালক-যাত্রী সবাইকে পোহাতে হয় ভোগান্তি। এ ছাড়া সড়কে চলতে গিয়ে প্রায়ই যানবাহন বিকল হচ্ছে। কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম রফিক বলেন, গোলচত্বর এলাকাটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বারবার কেন একই স্থানে সড়ক দেবে যাচ্ছে, তার কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। কুষ্টিয়া সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম জানান, কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় গত বছর সংস্করণ করা হয়েছিল। পুনরায় দেবে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আবারও দেবে থাকলে স্থায়ী সমাধানের জন্য ঢালাই দিয়ে সংস্কার করতে হবে।

সর্বশেষ খবর