সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বেহাল ঝালকাঠি-বরিশাল সড়ক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

বেহাল ঝালকাঠি-বরিশাল সড়ক

খানাখন্দে ভরা ঝালকাঠি-মানপাশা-গগনহাট-বরিশাল সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

খানাখন্দে ভরা ঝালকাঠি-মানপাশা-গগনহাট-বরিশাল সড়কে এখন জনদুর্ভোগ চরমে। ফলে বেহাল অবস্থায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। প্রায় দুই বছর ধরেই এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙা ও গর্ত রয়েছে। সড়কজুড়েই রয়েছে উঁচু-নিচু ঢিবি। ভাঙা রাস্তা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের। এ সড়কের পাশের গ্রামগুলো কৃষিসমৃদ্ধ হওয়ায় কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ থাকায় স্থানীয় কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ঝালকাঠি শহর থেকে মানপাশা হয়ে বিনয়কাঠি ইউনিয়ন পার হয়ে বরিশাল দিয়ে উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন খানাখন্দে ভরা। স্থানীয় সরকার ১৩.৭ কিলোমিটারের এ সড়কটির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নথিপত্রে নাম ঝালকাঠি-গগনহাট সড়ক। বাইপাস সড়কের পাশাপাশি এ সড়ক থেকে বরিশাল যাওয়ার একমাত্র বিকল্প সড়ক। কিন্তু এই সড়কের মানপাশা থেকে বিনয়কাঠি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কের আশপাশের কৃষিসমৃদ্ধ গ্রামগুলো থেকে বাণিজ্যিকভাবে প্রতিদিন কৃষিপণ্য শহরে সরবরাহ করা হয় এ সড়ক থেকেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙা রাস্তা দিয়েই শহরে যাতায়াত করে। এ ছাড়া রোগীদের আরও সমস্যা হয় খানাখন্দ ও গর্তে ভরা সড়কটিতে। বিশেষ করে এ সড়ক থেকে সিজারিয়ান রোগীদের শহরে নেওয়া যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান স্থানীয়রা। এ সড়কে চলাচলরত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালকরা জানান, প্রায়ই তাদের গাড়ির যন্ত্রাংশ রাস্তার ঝাঁকুনিতে বিকল হয়ে যায়। তাই এ এলাকার যাত্রী ও চালকরা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।  ঝালকাঠি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন জানান, মূল সড়কটির ভাঙা অংশ ৩.৬৬ কিলোমিটার মেরামতের জন্য ২ কোটি ৪০ টাকার এস্টিমেট (প্রাক্কলন) পাঠানো হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটি পাঠানো এ প্রস্তাব অনুমোদিত হলেই এ সড়কে কাজ শুরু করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর