সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

‘আশ্বিনায়’ জমজমাট আমের বাজার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রযুক্তি আর চাষের কৌশলগত কারণে টক জাতের আশ্বিনা আমে বেড়েছে মিষ্টতা। মৌসুম শেষ হলেও এখনো আমের বাজার জমিয়ে রেখেছে আশ্বিনা আম। দিন দিন চাহিদা বাড়ছে এ জাতের আমের।  চাষিদের দাবি, ৫-৭ বছর আগেও এই সময় আশ্বিনা আমের দাম পাওয়া যেত না। এখন বাড়তি যত্ন করে দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে মৌসুম শেষের আশ্বিনা আমের। বাজারে এখন শুধু আশ্বিনাই বিক্রি হচ্ছে। কানসাটের বৃহৎ আমবাজার গিয়ে জানা যায়, আগের বছরগুলোতে বাজারে আশ্বিনা আম কম পরিমাণে বিক্রি হতো। এখন বিক্রি বাড়ছে, দামও বেশ চড়া। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৫ গাছে আশ্বিনা আমের আবাদ করছেন চাষিরা। শিবগঞ্জ উপজলোয় সবচেয়ে বেশি আশ্বিনার চাষ হচ্ছে। জয়নাল আবেদিন নামে কানসাটের এক আম ব্যবসায়ী বলেন, বর্ষা মৌসুমে আশ্বিনা আমের ব্যাপক ক্ষতি হয় কিন্তু এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও খুব কম। এ ছাড়া ফ্রুট ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে আম চাষ করায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি দিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে এ আম। আশরাফুল ইসলাম নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আগে এ জেলায় আশ্বিনা আমের যত্ন নেওয়া হতো না। কারণ আশ্বিনা আম টক হওয়ায় আচার অথবা জুসের জন্য বিক্রি করে দিত চাষিরা।

এখন বেশি বেশি পরির্চযা করছেন তারা। আর বাজারে এ আমের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। কানসাটের আমবাজারে আশ্বিনা আম বিক্রি করতে আসা মেহেদী হাসান জানান, মৌসুমের শেষ দিকে বাগানে আশ্বিনা আম পাওয়া যায়। গত বছর আশ্বিনা আম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। এ বছর সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। কানসাট আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, আমের মৌসুম প্রায় শেষ। বর্তমানে বাজারে অন্য কোনো আম নেই। শুধু আশ্বিনা আম পাওয়া যাচ্ছে। আগে আশ্বিনা আমের বাজার ভালো ছিল না। এখন এ আম চাষ ও বিক্রি ভালো হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোখলেসুর রহমান বলেন, আমে সাদা ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহার করলে রং পরিবর্তন হবে না। আমের অরিজিনাল স্বাদ থাকবে। তিনি আরও বলেন, কেউ যদি আশ্বিনা আমের রং বদল করতে চান তাহলে বাদামি রঙের ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।

সর্বশেষ খবর