সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতুর সুফল পাচ্ছে মেহেরপুরবাসী

মেহেরপুর প্রতিনিধি

পদ্মা সেতুর সুফল পাচ্ছে মেহেরপুরবাসী

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর মেহেরপুরের সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতি সঞ্চার হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এখন সহজে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা শহরে দ্রুত চলে যাচ্ছে। কৃষকরাও উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। মেহেরপুরের অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, পদ্মা সেতুর কারণে এ জেলায় কৃষিভিত্তিক ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখানে স্বল্পমূলে শ্রম ও জমি পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী এসব পণ্য  উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা। এ ছাড়া কাঠশিল্প, কাঠ দিয়ে গাড়ির বডি তৈরি, পাট ও পাটজাত পণ্য তৈরি, মৃৎশিল্প ও পর্যটন শিল্প বিকাশের সুযোগ রয়েছে। মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু ঘিরে মেহেরপুরের অর্থনৈতিক চিত্র আমূল পরিবর্তন সম্ভব।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এ সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে কৃষকরা দ্রুত তাদের পণ্য ঢাকায় পাঠাতে পারায় ফসলের সঠিক দাম পাচ্ছেন। মুজিবনগরকে কেন্দ্র করে এ জেলায় গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় পর্যটক বেড়েছে। এখন পর্যটন শিল্পের শুধু প্রচার দরকার। তারা মুজিবনগরের পাশাপাশি অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান বিশেষ করে আমঝুপি নিলকুঠি, বলরাম হাঁড়ির আখড়া, সাধু নিগানন্দর আশ্রম, রণজিৎ মল্লিকের বাড়ি এই ঐতিহাসিকত জায়গাগুলোর বিষয়েও আকৃষ্ট হবেন।

মেহেরপুর চেম্বার সভাপতি গোলাম রসুল বলেন, পদ্মা স্বপ্নের সেতু। এ সেতুর ফলে মেহেরপুরের অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটতে চলেছে। গত কোরবানিতে সহজে সঠিক সময়ে জেলার গবাদি পশু ঢাকার হাটে বিক্রি করে খামারিরা লাভবান হয়েছেন। ঐতিহাসিক মুজিবনগরে গড়ে তোলা হচ্ছে স্থলবন্দর। এই স্থলবন্দর ব্যবহারে পদ্মা সেতু ভূমিকা রাখবে।

 

সর্বশেষ খবর