মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বৃষ্টি হলেই চলার অযোগ্য রাস্তা

নাটোর প্রতিনিধি

বৃষ্টি হলেই চলার অযোগ্য রাস্তা

সিংড়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রাম থেকে পাঁচলাড়ুয়া পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও পাকা হয়নি। বৃষ্টি হলে এ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তখন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের। এলাকাবাসী জানান, সিংড়া উপজেলার বেশির ভাগ রাস্তা পাকা হলেও এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি নারায়ণপুর গ্রামে। বর্ষাকালে এ গ্রামের কাঁচা রাস্তায় চলাচল করা খুবই কষ্টের। মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তার কারণে চরম ভোগান্দিতে পড়তে হয় জনসাধারণকে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। নারায়ণপুরের এই কাঁচা সড়ক দিয়ে রৌধী, চামারী, ধুলিয়া ডাঙ্গা, পাছলাড়ুয়া, আগলাড়ুয়া, নতুনবস্তি, সাঐলসহ ১০ গ্রামের লোক যাতায়াত এবং কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাসিন্দা হিমেল শেখ বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। পাঁচলাড়ুয়া গ্রামের মতিউর রহমান বলেন, ৪৫ বছর ধরে রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা। কেউ কথা রাখেননি। প্রয়োজনের তাগিদে দুর্ভোগ সঙ্গী করেই যাতায়াত করতে হচ্ছে দুই গ্রামের মানুষের। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তখন সব ধরনের যান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। তখন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিশু-বৃদ্ধ ও নারীরা বেশি সমস্যায় পড়েন। কলেজশিক্ষার্থী পরী বানু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন। গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার পরই পাকা সড়ক। সামান্য এটুকু কাজ না করায় যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় হাতিয়ান্দাহ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান চঞ্চল বলেন, এ দুটি গ্রামের বাসিন্দারা পাকা সড়কের অভাবে দুর্ভোগে আছেন। সড়কটি পাকা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরই সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর