শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সেতু

দুর্ভোগে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাবাসী

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সেতু

পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাঁচটি সেতু ও ১০টি আঞ্চলিক সড়ক। এক বছরেও এগুলো মেরামত না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ইউনিয়নের প্রায় ১৬ হাজার বাসিন্দা। স্থানীয় ইউপি সূত্রে জানা যায়, দহগ্রাম ইউনিয়নটি দুই ভাগে বিভক্ত করেছে সাকোয়া নদী। অপরদিকে পূর্ব-পশ্চিমে ভারত ও বাংলাদেশ লাগোয়া অংশ হয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। প্রতি বছর তিস্তার পানি বেড়ে দহগ্রামের অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়। তিস্তায় বন্যা দেখা দিলে সাকোয়া নদীও রুদ্রমূর্তি ধারণ করে। তখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতু ও আঞ্চলিক পাকা-কাঁচা সড়ক। গত বছর আকস্মিক বন্যায় দহগ্রাম ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৃষ্টিয়ারপাড় এলাকার সাকোয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর দুই দিকের সংযোগ সড়ক ধসে যায়। একই ওয়ার্ডের সর্দারপাড়া তিস্তা নদীর ক্যানেলের ওপর নির্মিত সেতুর দুই দিকে ফাটল ধরেছে। ঝুঁঁকি নিয়ে এ সেতু দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। একই ওয়ার্ডের কলোনীপাড়া থেকে দাখিল মাদরাসাগামী ৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২ নম্বর ওয়ার্ডের ওলেরপাড়, ডাঙাপাড়া এলাকা হয়ে শেষ পর্যন্ত (ভারত-বাংলাদেশ শূন্যরেখা পর্যন্ত) সড়কও নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমবাড়ী মহিমপাড়া এলাকার কালভার্ট। দহগ্রামের নয়ারহাটগামী পাকা রাস্তা থেকে গুচ্ছগ্রাম যাওয়ার ২ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক চলাচলে অনুপযোগী। বৃষ্টি আর বন্যায় সড়কটির অনন্ত ৮-১০ জায়গায় ভেঙে গেছে। ধসে গেছে সড়কের কালভার্টটিও। সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ায় কষ্টে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গেরবাড়ী থেকে নতুনহাট এলাকায় সাকোয়া নদীর ওপর সেতুর রেলিং ভেঙেছে। ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দিকে সংযুক্ত পাকা সড়কও ভেঙে গেছে। দেবে গেছে হাড়িপাড়া-সৈয়দপাড়া সাকোয়া উত্তরদিকের অংশ। এ ওয়ার্ডের সৈয়দপাড়া থেকে হাবিব চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়কের বিভিন্ন স্থানে হয়েছে গর্ত। ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড সংযুক্ত এলাকার কাজীপাড়া-মমিনপুর মাদরাসা এলাকার সেতুটির দুই দিকের সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অচলাবস্থায় রয়েছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাতিপাড়া থেকে মতিয়ারের বাড়ি পর্যন্ত কাবিখার সড়ক দেবে গেছে। উপজেলা প্রকৌশলী মাহাবুব-উল আলম বলেন, ‘গত বছর আকিস্মক বন্যায় দহগ্রাম ইউনিয়নের যেসব সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, চলতি অর্থবছরে বন্যায় রাস্তাঘাট মেরামত করা হবে। ব্রিজ কালভার্টগুলো করবে এলজিইডি। পর্যায়ক্রমে দহগ্রামের অবকাঠামো সংস্কার করা হবে।

সর্বশেষ খবর