শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্লিনিকের ছড়াছড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্লিনিকের ছড়াছড়ি

বগুড়ায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি। নিয়ম না মেনে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে এসব ক্লিনিক, হাসপাতাল ও প্যাথলজি সেন্টার। এগুলোর বেশির ভাগেরই নেই কোনো অনুমোদন। আবার কোনোটি চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে।

বগুড়া সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় তালিকাভুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ৩৩৮টি। বাকিগুলো চলছে অনিয়ম মেনে। নিবন্ধন ছাড়া যেসব ক্লিনিক চলছে তার বড় অংশই দালালের মাধ্যমে রোগী ধরে। অনুমোদনহীন এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী নিয়ে চিকিৎসার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে টেস্টের ভুল রিপোর্ট আসারও। পুনরায় টাকা খরচ করে টেস্ট করাতে হয় ভুক্তভোগীদের। জেলা শহরের সবচেয়ে বেশি ক্লিনিক গড়ে উঠেছে ঠনঠনিয়া, শেরপুর রোড, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে, জেলা শহরের মফিজপাগলার মোড়ে। শহরের এই চারটি স্থানেই প্রাইভেট চেম্বার, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ নামে-বেনামে প্রায় ৩০০ ক্লিনিক। এ ছাড়া জেলার ১২ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও গড়ে উঠেছে বহু ক্লিনিক। নামসর্বস্ব সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নাম ভাঙিয়ে চলছে এগুলো। ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর ও একই বছরের ৯ এপ্রিল শহরের দুটি ক্লিনিকে টনসিল অপারেশন করাতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুটি মৃত্যুর ঘটনায় শহরজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় হলেও ক্লিনিকগুলো এখনো রয়েছে আগেরমতোই বহাল তবিয়তে।

চিকিৎসাসেবার নাম করে কিছু ক্লিনিক মালিক রোগী ঘিরে বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। ক্লিনিকগুলোতে রোগী ও স্বজনরা হয়রানির শিকার হলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করাতে গিয়ে কাড়ি কাড়ি অর্থ খুয়ে অনেকেই হচ্ছে সর্বস্বান্ত। বগুড়া জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহনাজ পারভিন বলেন, গত ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর চার দিন অভিযান চালিয়ে ২৩টি ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ছয়টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, এখানে কোনোভাবেই অবৈধ ক্লিনিক চলতে দেওয়া হবে না। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ খবর